বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। ঈদের আগে সব কারখানায় কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন বোনাস পরিশোধ, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো খুলে দেওয়া, সরকার ঘোষিত প্রণোদনার টাকা শ্রমিকদের প্রদান ও শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করে শ্রমিক দল।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করায় সেসব কারাখানার শ্রমিকদের বাঁচার কোনও অধিকার থাকলো না বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘শ্রমিকদের এখন মানবেতর অবস্থা। মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রফতানিও বন্ধ। করোনা মহামারি মাঝেও একদিকে চলছে সরকারের লুটপাট, অন্যদিকে বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিক ও কর্মহীন নিরন্ন মানুষের আহাজারি। সরকার কি শুধুই মহাজন, ধনী ও ব্যবসায়ীদের জন্য? শ্রমিক বাঁচানোর জন্য সরকারের কোনও উদ্যোগ নেই। অবিলম্বে কোরবানির ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ করার দাবি জানাচ্ছি।’
মেয়র নির্বাচনের আগে তারা কত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে উল্লেখ করে রিজভী আরও বলেন, ‘কিন্তু ভোটের আগের দিন তারা ভোট করে নিলো। এখন দুই দিনের বৃষ্টিতে ঢাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সুতরাং তাদের দিয়ে কোনও উন্নয়ন আশা করা যায়। এই অবস্থা বেশি দিন চলতে পারে না।’
সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ূন কবির খান, শ্রমিক দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু প্রমুখ।