ঈদের পর আন্দোলনের ঘোষণা দেবে বাম জোট

৫৫৫

কোরবানির ঈদের পরে জাতীয় কনভেনশন ডেকে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেবে বাম গণতান্ত্রিক জোট। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের অপসারণ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বরখাস্তের পাশাপাশি শাস্তি দাবি করেছে বামদলগুলোর এই জোট। 

সোমবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর পুরানা পল্টনে জোটের সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জোট সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ।

বামজোটের সংবাদ সম্মেলনে ৯ দফা দাবি পেশ করা হয়। বলা হয়— ‘ঈদের পরে এই দাবিগুলোসহ সরকারের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় কনভেনশনের মাধ্যমে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে জোটের অন্যতম নেতা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক  সাইফুল হক বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় সীমাহীন ব্যর্থতার পাশাপাশি সরকার এখন বন্যা পরিস্থিতিতে জনগণকে রক্ষায়ও চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে এসেছে। ছয় মাস পার হবার পরেও স্বাস্থ্য খাতের নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনা দূর হয়নি। করোনা সংক্রমণ যেনো অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যে কারণে বহুমুখী হয়রানি।’

তিনি বলেন, ‘এইভাবে কোনও দেশ চলতে পারে না। এই অবস্থায় দেশ ও জনগণকে রক্ষায় বাম জোটের নেতা  কর্মীদেরকে ঝুঁকি নিয়েই রাজপথে দাঁড়াতে হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও অংশগ্রহণ করেন, সিপিবি’র সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা মানস নন্দী, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক বাচ্চু ভূইয়া, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, সিপিবি’র কাফী রতন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খান, ইউসিএলবি’র নজরুল ইসলাম।