‘খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন শেখ কামাল’

শেখ কামালশহীদ শেখ কামালের হাত ধরেই স্বাধীন বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার ভিত্তি তৈরি হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা। তারা বলেন, শেখ কামাল অগাধ দেশপ্রেম থেকে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর দেশ গড়ে তোলার কাজে মনোযোগী হয়েছিলেন। নিজে খেলাধুলা করতেন। পাশাপাশি ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে দক্ষতা পরিচয় দিয়েছেন। সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও ছিল তার অবাধ বিচরণ।
আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এই মত প্রকাশ করেন তারা। শহীদ শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘তারুণ্যের জেগে ওঠার নাম শেখ কামাল’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। দলের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত এই বিশেষ ওয়েবিনারে ৫ আগস্ট রাত সাড়ে আটটায় সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।
আলোচক হিসেবে অনলাইন মিটিং প্ল্যাটফর্ম জুম এর মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও নাট্যজন নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক হারুন-উর-রশিদ, সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক অঘোর মন্ডল এবং আবাহনীর প্রথম অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার এবং সিনিয়র ফটো সাংবাদিক পাভেল রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক ছাত্রনেতা ও কলামিস্ট সুভাষ সিংহ রায়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে শহীদ শেখ কামাল'কে স্মৃতিচারণ করে নাট্যজন নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, উনি (শেখ কামাল) শেখ মুজিবের সন্তান হলেও এমন কোনও দাম্ভিকতা ছিল না। ছিলেন সাধারণ মানুষের মতই। জাতির একটি সংস্কৃতির যা যা উপাদান দরকার ছিল তার ভিত্তি কিন্তু শেখ কামাল গড়ে দিয়েছিলেন। আজ তা তরুণ প্রজন্মের কাছে লালিত হচ্ছে।
নাট্যব্যক্তিত্ব ম হামিদ বলেন, শেখ কামালের বিচরণ ছিল সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও। সেতার বাজানোতে শেখ কামাল ছিলেন দক্ষ। অনেক ভাল গান করতেন।
শেখ কামালের প্রতিষ্ঠিত আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রথম অফিসিয়াল আলোকচিত্রী পাভেল রহমান বলেন, ১৯৭৪ সালে কামাল ভাইয়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে, ৩২ নম্বর বাড়িতে। আমি বঙ্গবন্ধুর ছবি তুলছিলাম নীচ তলায়। খেলাঘরের বাচ্চারা বঙ্গবন্ধুর গলায় লাল স্কার্ফ পড়িয়ে দিচ্ছিলেন। সেসময় বারান্দায় কামাল ভাইকে দেখলাম। আমি সালাম দিয়েই সামনে যেতেই আমাকে তিনি কেক হাতে দিলেন। দিয়ে বললেন কেমন আছো? আমি চমকে উঠি। কারণ আমার সঙ্গে উনার তখনও পরিচয় হয়নি। তারপর তিনি বললেন, তুমি কি আমাদের আবাহনীর ছবি তুলে দেবে? তখন তিনি আমাকে আবাহনী ক্লাব চিনিয়ে দিলেন। কামাল ভাইয়ের যে দিকটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তা হলো উনার মনটা একদমই কিশোর।
বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক অঘোর মন্ডল বলেন, শেখ কামালকে দেশের তরুণ সমাজ বেশি মনে রাখবে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে, ক্রীড়াবিদ হিসেবে। ক্রীড়াবিদ শেখ কামালকে ভুলে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই।