‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের আশ্রয় দেওয়ায় বিএনপির অপমৃত্যু’

জাহাঙ্গীর কবির নানকজাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে বিএনপির রাজনৈতিক অপমৃত্যু হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের নেপথ্য নায়কদের মুখোশ উন্মোচন করা সবচেয়ে জরুরি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল কে? তিনি আর কেউ নন, জিয়াউর রহমান। সেই দিনের ষড়যন্ত্রের নেপথ্য নায়ক হলো জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিল সেই হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করালেও হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়কদের বিচার করা হয়নি। এই ষড়যন্ত্রকারীদের নেপথ্য নায়কদের মুখোশ উন্মোচন করা সবচেয়ে জরুরি।’

১৯৭৫ সালের অপশক্তি এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, ’৭৫-এ যারা ষড়যন্ত্র করেছিল আজ সেই দল আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে‌। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অতর্কিত অপপ্রচার, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে। অপপ্রচার চালিয়ে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘যে দল ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করতে ইনডিমনিটি জারি করেছিল, সেই দল এখন আবার আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আজ আমাদের শপথ নিতে হবে, সতর্ক হতে হবে পঁচাত্তরের শত্রু ও অপশক্তির বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ ১২ বছর ক্ষমতায় আছে বলেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আপনারা (বিএনপি) এমন কোনও নজির দেখাতে পারবেন না যে কোনও অন্যায়ের বিচার করেছেন। শেখ হাসিনা আছে বলেই আওয়ামী লীগ আছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের মানুষ শান্তিতে আছে। শেখ হাসিনা আছে বলেই অন্যায়, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।’

সাবেক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগস্ট মাস এলেই স্বাধীনতাবিরোধী পঁচাত্তরের অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ষড়যন্ত্র শুরু করে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগকে সোচ্চার হতে হবে। স্বেচ্ছাসেবক লীগকে ভ্যানগার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।’

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম. বাহাউদ্দীন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম বেপারি, খায়রুল হাসান জুয়েল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ইসহাক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান নাঈম, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ প্রমুখ।