পাটশিল্প ও পাটচাষি রক্ষায় কনভেনশন থেকে নতুন কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচিগুলো হল- ১ সেপ্টেম্বর প্রতিটি পাটকল গেটে মিটিং ও সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ, ১৩ সেপ্টেম্বর প্রত্যেক জেলায় ও শিল্পাঞ্চলে অবস্থান ও সংহতি সমাবেশ, ২৭ সেপ্টেম্বর পাট মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি এবং জেলায় জেলায় ডিসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি পেশ, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে মিছিল। এরপরও দাবি মানা না হলে হরতাল, অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান জোটের নেতারা।
কনভেনশনে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, কারখানা বন্ধ করে আবার ব্যক্তি মালিকানায় কারখানা চালু হবে তা কিন্তু না। আদমজির ক্ষেত্রে আমরা যা দেখেছি, এটা (পিপিপি) লুটপাটের একটা আয়োজন। করোনাকালে এটা মানবতাবিরোধী পদক্ষেপ। দুর্নীতি, ভুলনীতি ও লুটপাট- এ তিনটা জিনিস হলো এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। এইগুলো বন্ধ করেন, পাটশিল্প লাভজনক হয়ে যাবে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্ব কনভেনশনে আরও বক্তব্য রাখেন তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদের (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক প্রমুখ।