কণ্টকাকীর্ণ পথেই এগিয়েছেন শেখ হাসিনা: আমু

আমির হোসেন আমুআওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অত্যন্ত কণ্টকাকীর্ণ পথ বেয়ে সামনে এগুতে হয়েছে। পৃথিবীর অন্য কোনও রাষ্ট্রনায়ককে তার মতো এত কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে চলতে হয়নি। তবু সবকিছু মোকাবিলা করে তিনি আজকে বাংলাদেশকে এই অবস্থানে আনতে সক্ষম হয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার ১৪ দল আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আমু বলেন, শেখ হাসিনা শুধু দেশকেই সারা বিশ্বে মর্যাদাশীল করেননি। তার এই অকল্পনীয় রাষ্ট্রনায়কোচিত কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নিজেকেও বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকজন সফল মর্যাদাশীল রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে যখন এই দেশে একটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধকে হত্যা করে দেশকে পাকিস্তানী ধরায় নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। জিয়াউর রহমান যখন প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে রাজনীতি কঠিন করার ষড়যন্ত্র করে। দল ভাঙার রাজনীতি শুরু করে। সেই কঠিন সময়ে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে সর্বসম্মতিক্রমে দলের সভাপতি নির্বাচিত করে। সেখান থেকে তিনি দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে একটা জায়গায় নিয়ে এসেছেন তিনি। এখন সারা বিশ্বে বাংলাদেশ মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সসদ্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, তিনি আন্তর্জাতিক বিশ্বে একজন মর্যাদাশালী নেতা। ১৯৮১ সালে ৩৪ বছর বয়সে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের পতাকা হাতে নিয়ে তিনি বলেছিলেন- আমি ক্ষমতার জন্য আসিনি, আমি এসেছি বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।

আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনলায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর করিব নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আকতার, সাম্যবাদি দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির জাকির হোসেন, গণতন্ত্রী পার্টির অধ্যাপক ডা. শহিদুল্লাহ শিকদার, ন্যাপের ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।