’মাহমুদুর রহমান মান্নার ওপর হামলার প্রতিবাদে’ নাগরিক ঐক্য এই বিক্ষোভের আয়োজন করে।
মান্না বলেন, ‘আমার ওপর যারা হামলা করেছে তাদের ভিডিও আমার কাছে আছে। তৈমূর আলম খন্দকার তাদের নামে জিডি করেছেন। সাত দিনের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ব্যবস্থা নেবে? নেবে না। গতকাল নাকি পরশু বাম দল পল্টন মোড় অবরোধ করেছিল। সাত দিন, ১৫ দিন পরে ঢাকা মহানগরের সব জায়গায় অবরোধ করবো। এই রকম মনে করবেন না যে এক মাঘে শীত যাবে। এরকম মনে করবেন না যে চুরি করে রক্ষা পাবেন। ১০ বছরে একদিন তো সভা হবে, সেই দিন চলে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের রামদার ভয় দেখাবেন না। জেলের ভয় দেখাবেন না। মামলার ভয় দেখাবেন না। পান্তা ভাতের মধ্যে কাঁচা মরিচ দিয়ে যেভাবে খায়, ওইভাবে হামলা-মামলা এত বছর ধরে খেয়ে এসেছি। আমরা যখন ধরবো তখন কিন্তু পালাবার পথ পাবেন না।’
মান্না বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জোনায়েদ সাকি, নুরুল হক নুর সবাই কথা বলছে। কারোর কণ্ঠ রোধ করতে পারেননি। আর কণ্ঠ রোধ করতেও পারবেন না। আজ আমরা তিন জন, চার জন কথা বলছি। সাতদিন পরে সারা বাংলাদেশের মানুষ একসঙ্গে কথা বলবো। ওই কণ্ঠ এত জোরে শোনা যাবে যে গণভবনের দেয়াল ভেঙে পড়ে যাবে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার ওপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগ হামলা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের ৬৮তম জন্মদিন ও খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে তার বাড়িতে দোয়া ও গরিব মানুষের মধ্যে বস্ত্র বিতরণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তৈমূর আলম খন্দকার জানান, হামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অন্তত ২৫ নেতাকর্মী আহত হন এবং অন্তত আটটি গাড়ি ও ঘটনাস্থলের বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙচুর করা হয়। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের ধরে ধরে পেটানো হয়।
আরও পড়ুন- খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির দোয়া করতে গিয়ে হামলার মুখে মান্না