বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

বিএনপি প্রার্থীর বহিষ্কার দাবিতে মিছিলঢাকা-১৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনের গণসংযোগকালে দুই পক্ষের মধ্য ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই আসনের মনোনয়ন বঞ্চিত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কপিল উদ্দিন আহমেদের সমর্থকদের সঙ্গে জাহাঙ্গীরের সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উভয়পক্ষের ১০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হন।

শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর রোডের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে জাহাঙ্গীর নির্বাচনি গণসংযোগে বের হলে এ ঘটনা ঘটে।

সূত্র জানায়, উত্তরা-৭ নম্বর সেক্টরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার শেষে গণসংযোগে বের হয় জাহাঙ্গীর হোসেন। এসময় কপিল আহমেদর সমর্থকরা ‘সন্ত্রাসী ও ঘর জামাই জাহাঙ্গীরের’ বহিষ্কারের দাবিতে মিছিল বের করেন। তখন দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

জাহাঙ্গীর বিরোধী মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সদ্য বহিষ্কৃত দক্ষিণখান থানা বিএনপির থানার সদস্য নাজিম উদ্দিন দেওয়ান ও আমজাদ হোসেন ও উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান।

এর আগে, গত ১২ সেপ্টেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাহাঙ্গীরের ও কপিল উদ্দিনের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এতে কপিল উদ্দিনের অনুসারী ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আহত হন।

উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, গুলশান অফিসে হামলার বিচারের দাবিতে আমাদের এই মিছিল ছিল। আর এই মিছিলে হামলা করেছে জাহাঙ্গীরের সমর্থকরা। এ জন্য আমরা দল থেকে তার বহিষ্কার দাবিতে মিছিল করি। কিন্তু মিছিলের শেষভাগে কালো পতাকা প্রদর্শন করে এগিয়ে যাওয়ায় জাহাঙ্গীর সমর্থকরা হামলা করে। আমারও তাদের পাল্টা ধাওয়া দিয়েছি। এতে আমাদের ৬-৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

তবে মিছিলে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন।