তার এলাকায় ধর্ষণের মতো দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেছে উল্লেখ করে এ সময় কাদের বলেন, ‘যে বা যারাই এতে জড়িত থাকুক, তাদের বিচার করা হবে। আওয়ামী লীগ হোক বা সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী হোক, তাদের দলে ঠাঁই হবে না। আওয়ামী লীগের দরজা তাদের জন্য চিরতরে বন্ধ থাকবে। দলীয় পরিচয় কোনও অপরাধীর আত্মরক্ষার ঢাল হতে পারে না, অপরাধীর পরিচয় অপরাধীই। শেখ হাসিনার সরকার যেকোনও দুর্নীতি, অনিয়ম, অপরাধের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর। অপরাধীরা যে দলেরই হোক, তাদের বিচার করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বলে কিছু নেই। সবাই যার যার ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করবে। প্রত্যেকের ধর্ম স্বাধীনভাবে যাতে পালন করে সে লক্ষ্যে আমি সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানাই।’ যারা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে তাদের সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ব্যাপারে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প তারাই ছড়িয়েছে যারা আবহমান কাল থেকে এদেশে চর্চিত সম্প্রীতির বীজতলা নষ্ট করেছে। তারা কৃত্রিম সমস্যা তৈরি করে সাম্প্রদায়িক দূরত্ব বাড়িয়ে দিতে চায়।’ সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দুর্বল হয়েছে কিন্তু নির্মূল হয়নি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের শব্দহীনতা কিংবা আড়ালে থাকা শক্তি সঞ্চয়ের কৌশলও হতে পারে।’
নোয়াখালীতে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চলমান আছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও যেসব কাজ বাকি আছে বর্তমান সরকারের আমলেই তা শেষ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য সবকিছুই করা হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে কোনও ধরনের উসকানিমূলক পোস্ট ফেসবুকে না দেওয়ার আহ্বান জানান।