আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাসির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ একই বছরের ৪ জুলাই এক রায়ে মীর নাসিরকে পৃথক ধারায় তিন বছর এবং ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে দুই বছরের দণ্ড দেন। এছাড়া তার ছেলে মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আলাদা দুটি আপিল করেন।
হাইকোর্ট ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাসিরের এবং একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেন। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করে দুদক। ২০১৪ সালের ৪ জুলাই দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে রায় দেন আপিল বিভাগ। রায়ে মীর নাসির ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর হেলালকে দুর্নীতি মামলায় খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেন। একই সঙ্গে মামলাটির আপিল আবেদনটি পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই অনুসারে ওই আপিল দুটির শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর রায় দেন আদালত।
দুদকের করা এ মামলায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ৮ নভেম্বর মীর নাসির বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। পরে মীর নাসির আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল আপিলের অনুমতি দায়ের করেন। একই সঙ্গে জামিনও চান আপিল বিভাগে।