সোমবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত ২২তম নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন রাজনীতির কবি। বক্তৃতা ও বাগ্মিতায় তিনি অমর। এই বাংলার জনমানুষের জীবন বদলের শিল্পী ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি ছিলেন বাঙালি সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। বঙ্গবন্ধু সংস্কৃতির ভাঙাসেতু মেরামত করে তৈরি করেছিলেন অটুট সেতুবন্ধন।’
তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য এদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ওপর চ্যালেঞ্জ। অন্য কোনও পথ ও ইস্যু না পেয়ে ধর্মীয় ইস্যুকে সামনে এনে ধর্মীয় সহনশীলতা বিনষ্টের যেকোনও অপচেষ্টা সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইতিহাসের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে কোনও আলোচনা হতে পারে না। এ বিষয়ে কোনও আপস নেই।’
সরকারের সরলতাকে দুর্বল না ভাবার আহ্বান জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সংবিধান ও রাষ্ট্রবিরোধী কোনও বক্তব্য বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
শিল্পকলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুল মান্নান ইলিয়াস, চিত্রশিল্পী সহিদ কবির ও শিল্পকলা অ্যাকাডেমির পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হয়।