নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখার দাবি নূরের

সভায় বক্তব্য রাখছেন নূর

সরকার যে অবস্থায় আছে, সেখান থেকে সহজেই স্কিপ করার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর। তিনি বলেন, ‘সরকার যে দাঁড়িয়েছে, সেখান এক্সিটের রাস্তাই হলো অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা ঠিক করে সেটিকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা।’ এজন্য সরকারকে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনা করার আহ্বান জানান নূর।



শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত চার সংগঠনের এক আলোচনা সভায় নূর এসব কথা বলেন। ভাসানী অনুসারী পরিষদ, ছাত্র, শ্রমিক ও যুব অধিকার পরিষদ, রাষ্ট্রচিন্তা ও গণসংহতি আন্দোলন এ সভার আয়োজন করে।
সভায় নূর জানান, চারটি সংগঠন মিলে একটি বৃহত্তর ঐক্যের দিকে এগোচ্ছেন তারা। তার মন্তব্য, ‘আমরা চারটি সংগঠন মিলে বৃহত্তর মুক্তির লক্ষ ও উদ্দেশ্য নিয়ে এগোচ্ছি। বৃহত্তর ঐক্য আর আন্দোলন ছাড়া এই জাতির মুক্তি হবে কিনা আমি জানি না।’
আরও পড়ুন: জোনায়েদ সাকি ও নুরের নেতৃত্বে নতুন জোট আসছে
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপকে তামাশা বলে উল্লেখ করেন নূর। তিনি বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে রাজনীতির বাইরেও সাধারণ মানুষের ঐক্যের বিকল্প নেই।’
আলোচনায় গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অপেক্ষা করছি গণতন্ত্রকে কবরে নেবে নাকি শ্মশানে নেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে মওলানা ভাসানীকে বিলীন করে দেওয়ার চেষ্টা হয়। এমনকি তাজউদ্দীন সাহেবকে বিলীন করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ভাসানীই বাংলাদেশ, এটা বলতে হবে।’
আলোচনা সভায় গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল ও রাষ্ট্রচিন্তার দায়িত্বশীলরা বক্তব্য রাখেন।