রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ‘ধর্মব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে’ ঢাকা মহানগর জাসদ আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
ইনু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে মানি, কিন্তু ভাস্কর্য মানি না—এই কথা বলে রাজনৈতিক মোল্লারা তাদের কথার সুর পাল্টালেও এদের ছাড় পাওয়ার, পার পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সংবিধান-ভাস্কর্যের বিষয়ে কোনও ছাড়, সমঝোতা, আপস বা মাঝামাঝি কোনও পথ নেই। সংবিধানের কোনও বিকল্প নেই, ভাস্কর্যেরও কোনও বিকল্প নেই। বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী চলবে, আর ভাস্কর্যও থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে রাজনৈতিক মোল্লাদের বেহিসাবি আয়-রোজগার-সম্পদের হিসাব আদায় করা শুরু করবে। মাদ্রাসার ছাত্রদের বলাৎকারের হিসাব নেবে। বিচার করবে। জনগণ ইমাম, মোয়াজ্জিন, খতিব, মাওলানা, মৌলভী সাহেবদের সম্মান করে। কিন্তু তারা নামাজ পড়ানো ও ধর্ম শিক্ষা দেওয়া বাদ দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ভাড়াটে খেলোয়াড় হিসেবে যদি রাজনীতি করা শুরু করেন, নিজেদের রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে ফেলেন; তাহলে কিন্তু মানুষ মসজিদে মসজিদে কথা বলা শুরু করবে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রবিউল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত রায়হান প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে জাসদের নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, পল্টন, তোপখানা, প্রেস ক্লাব, হাইকোর্ট, বায়তুল মোকাররম, দৈনিক বাংলা, গুলিস্তান এলাকা প্রদক্ষিণ করেন।
আজকের সমাবেশ থেকে আগামী ২০ ডিসেম্বর আবারও ঢাকাসহ দেশব্যাপী সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করার কর্মসূচি দিয়েছে জাসদ।