ভাস্কর্য ভাঙা অস্থিতিশীলতার ষড়যন্ত্র, অভিযোগ রাজনীতিকদের

কুষ্টিয়ায় বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের পর কুষ্টিয়ায় আবারও ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনাকে ‘দেশকে অস্থিতিশীলতার ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন রাজনীতিকরা। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জাসদ ও বাংলাদেশ ন্যাপের নেতারা এ অভিযোগ করেন।  তারা অবিলম্বে দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বলেন, ‘রাতের আঁধারে চোরের মতো কাপুরুষোচিত কায়দায় কুষ্টিয়ায় বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান বিপ্লবী নেতা বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা করি এবং ভাঙচুরকারীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবি জানাই।’

তারা বলেন, ‘ভাস্কর্যবিরোধী রাজনৈতিক মোল্লা, ধর্মব্যবসায়ী, ফতোয়াবাজরা বাঙালি জাতির সংগ্রামী ইতিহাস ও ঐতিহ্য মুছে বাঙালি জাতির সংগ্রামী চেতনা ধ্বংস করে বাঙালি জাতিকে চেতনাহীন করতে উদ্যত হয়েছে।’

জাসদ নেতারা জাতীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতীক ভাস্কর্য, সংবিধানবিরোধী রাষ্ট্রদ্রোহী রাজনৈতিক মোল্লা, ধর্মব্যবসায়ী, ফতোয়াবাজদের কোনও ছাড় না দিয়ে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

পৃথক আরেক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘দেশবিরোধী গোষ্ঠী ভাস্কর্য ভাঙার মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র চলছে। তারা বাংলাদেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে।’

তারা বলেন, ‘বিজয়ের মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার পর ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী নেতা যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় অর্থাৎ ‘বাঘা যতীন’-এর ভাস্কর্য ভাঙার দুঃসাহস কারা দেখায়। তারা কি আসলে বাংলাদেশের অস্তিত্বের পক্ষে না নাকি বিপক্ষে, তা ভেবে দেখতে হবে। ভারতে ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনের একজন বীর সেনানী ‘বাঘা যতীন’ আমাদের ইতিহাসের অংশ। আর এই ইতিহাস মুছে ফেরার চক্রান্ত যারা করে তারা দেশবিরোধী।’