ছাত্রলীগের জরুরি সভায় হট্টগোল

FB_IMG_1609088910088 (1)প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক জরুরি সভা আহ্বান করেছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। সেখানে জ্যেষ্ঠ দুই নেত্রী কর্তৃক কনিষ্ঠ নেত্রীর ওপর হামলার ঘটনার বিচার নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত দিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সভায় এ ঘটনা ঘটে। সভায় উপস্থিত থাকা একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, সভায় আলোচনার একপর্যায়ে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহান খান রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী দাস তন্বীর ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামস-ই নোমান ওই ঘটনায় অভিযুক্ত বেনেজির হোসেন নিশির পক্ষ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সোহান খানের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এতে তিনি উপস্থিত অন্য নেতাদের তোপের মুখে পড়েন। এ সময় সভায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত আরেক নেত্রী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রলীগ নেতা জানান, উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য তার বক্তব্যে বলেন, তন্বীর ওপর যে হামলা হয়েছে এটি সত্যিই নিন্দনীয় ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবহির্ভূত কাজ। তন্বী সুস্থ হলে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের একসঙ্গে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করবেন বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে গত ২২ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ ও বঙ্গবন্ধু টাওয়ার এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী দাস তন্বীকে বেদম মারধরের অভিযোগ উঠেছে সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও হল পর্যায়ের জ্যেষ্ঠ ওই দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে। মারধরের শিকার নেত্রীর অভিযোগ, তার মুঠোফোনও ছিনতাই করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত দুই নেত্রী দাবি করেন, তারা তাকে ‘শাসন’ করেছেন।
জানা গেছে, আজকের সভায় আলোচনার বিষয় ছিল ৪ঠা জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শূন্যপদে পদায়ন, তন্বীর ওপর হামলার বিষয়, জেলাভিত্তিক দায়িত্ব বণ্টন।
আগামী ৪ঠা জানুয়ারির আগে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে শূন্যপদে পদায়ন করা হবে বলে সভা সূত্রে জানা যায়। সভায় এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সীমিত পরিসরে ভার্চুয়ালি করার সিদ্ধান্ত হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানটি রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে হওয়ার কথা রয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
তবে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সভায় অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান এবার সীমিত পরিসরে হবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হবেন।’