‘আ. লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে বিশ্বাসী নয়’

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বিএনপির পাল্টাপাল্টি নয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে বিশ্বাসী নয়। আমাদের এ কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিত এবং প্রতি বছরের মতো এবারও তা পালন করা হবে।’

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সালেহপুর সেতুর চার লেনবিশিষ্ট দ্বিতীয় সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। আমিনবাজার, সালেহপুর ও নয়ারহাটে তিনটি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এই কাজ শুরু হচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে বিএনপি নেতারা এখন বলছেন সংগঠনকে গুছিয়ে এরপর আন্দোলনে নামবে। তাদের এমন অজুহাতেই একযুগ পেরুলো। জনগণ এখন বুঝে গেছে বিএনপির আন্দোলনের সক্ষমতা কতটুকু। তাদের আন্দোলনের ঘোষণা শুনতে শুনতে জনগণও এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কর্মীরাও হতাশ। বিএনপির আন্দোলনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতেই ১২ বছর চলে গেলো। কিন্তু আন্দোলন হবে কোন বছর?’

খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে সরকারের অন্ধ সমালোচনা এবং সরকার পতনকেই বিএনপি নিজেদের কৌশল হিসেবে নিয়েছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জনগণও এখন তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান। দলীয় নেত্রীর মুক্তির জন্য তাদের আগ্রহ যতটা না বেশি, তারচেয়ে বেশি আগ্রহ সরকারের বিরোধিতায়। বিএনপি নেতারা কী চান তা তারাও জানেন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই তারা সীমাবদ্ধ।’

বিএনপিকে অপরাজনীতি এবং ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে বিনিয়োগ না করে জনঘনিষ্ঠ ইস্যুতে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুন।’

তিনি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের কাছে নয়, ক্ষমা যদি চাইতেই হয় তাহলে আগুন সন্ত্রাস আর নেতিবাচক রাজনীতির জন্য জনগণের কাছেই ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহনে যতদিন শৃঙ্খলা ফিরে না আসবে ততদিন যতই উন্নয়ন কাজ হোক না কেন তাতে কোনও লাভ হবে না।

সড়ক ও পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কগুলোতে সৌন্দর্য রক্ষায় অবিলম্বে ব্যানার, ফেস্টুন ও সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলতে হবে।

গুণগত মান বজায় রেখে সড়কের নির্মাণকাজ করার নির্দেশনা দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, সড়কে চলমান সব কাজ বর্ষার আগেই শেষ করতে হবে।