ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে শেষ হয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি। সোমবার (১ মার্চ) সকালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও গ্রেফতার আট নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচি সফলে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে সচিবালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে এসে নেতাকর্মীরা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
এর আগে, বেলা ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে দিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে যাত্রা শুরু করে। পরে মৎস্য ভবন ও সচিবালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে মিছিলটি পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
পরে বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, যে রাষ্ট্র মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভয় পায়, আমরা সেই সরকারকে ধিক্কার জানাই। আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাবো।
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির বলেন, সরকার ২০১৮ সালে পুলিশ ও অন্যদের সহযোগিতায় ভোট ছাড়া ক্ষমতায় এসেছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ মশাল মিছিলে পুলিশ হামলা করে আমাদের অনেক নেতাকর্মীদের আহত করেছে৷ অথচ পলিশ বলছে, তাদেরকে নাকি আহত করা হয়েছে, এজন্য আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করা হয়েছে। আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন নয়, আওয়ামী লীগের সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হচ্ছে। লেখক মুস্তাককে রাষ্ট্র কেন হত্যা করলো, তার জবাব দিতে হবে।
এসময় তিনি আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান।
তারা আরও বলেন, রাতে সড়কবাতি বন্ধ করে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালানো হয়েছে। সাত জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
এ সময় রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ বলেন, তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে এসেছিল। এজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে কোনও ব্যারিকেড ছিল না। তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করেছে।