জামিন নিয়ে প্রধান বিচারপতির সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা চান ডা. জাফরুল্লাহ

জামিন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন বলে মনে করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘জামিন আমাদের মানবিক ও আইনগত অধিকার। আমাদের বিচারকগণ বিবেকবান নন। তারা অত্যাধিকভাবে সরকার নিয়ন্ত্রিত, পুলিশ নিয়ন্ত্রিত। আমরা প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। বিচারে দীর্ঘ প্রক্রিয়া সবচেয়ে বড় অত্যাচার। আজ এক মাস হয়ে গেছে এখনও মামলা উঠে না।’

শনিবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে প্রধান বিচারপতির কাছে ছাত্রদের মুক্তির জন্য দেওয়া চিঠি দিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘একই ধরনের মামলা ৫টি দিয়ে রেখেছে। পাঁচটির জন্য জামিন নিতে হয়। এ জায়গায় প্রধান বিচারপতির সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন। কদিন পরে ঈদ। ঈদের পূর্বে প্রধান বিচারপতির সাংবিধানিক শক্তির বলে এসব ছাত্রদের জামিনের ব্যবস্থা করতে বলেছি।’

সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালী অংশ নিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘ছাত্রদের জামিন দেওয়া উচিৎ। জামিন একটা অধিকারের ব্যাপার। বিশেষ করে ছাত্রসমাজ ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখে এসেছে। তারা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে জনমত গঠন করে, আন্দোলন করে। সেইগুলোকে আমরা সবসময় উৎসাহিত করেছি এবং এখনো সেটা হওয়ার কথা।’

তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে নিম্ন আদালত সাহসী ভূমিকা রেখেছে, অনেক সময় তারা জামিন দিয়েছেন। উচ্চ আদালত পর্যন্ত আসতে হয়নি। জামিন সবারই অধিকার, জামিন পাওয়ার অধিকার সবারই আছে।’

সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালী বক্তব্য রাখেন ড. কামাল হোসেন, বক্তব্য রাখেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।