‘আমার কর্মীর অপরাধ প্রমাণ করতে পারলে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করবো’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও ছাত্র, যুব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক নুরুল হক নুর বলেছেন, আমার কোনও নেতাকর্মীর যদি অপরাধ প্রমাণ করতে পারেন তাহলে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করবো।

শুক্রবার (১৪ মে) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিবিরোধী বিক্ষোভে গ্রেফতার বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

সমাবেশে নুর বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ আগমনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করায় আমাদের এখন পর্যন্ত ৫৩ জন সহযোদ্ধাকে কারাগারে আটক রেখেছে। গণতান্ত্রিক দেশে যেকোনও সভা সমাবেশ, বিক্ষোভ করা নাগরিক অধিকার। কিন্তু এই স্বৈরাচারী সরকার ভিন্ন মত ও দলের নেতাকর্মীদের দমন নিপীড়ন করে যাচ্ছে। যখন দেশের মানুষের অধিকারের কথা বলে ছাত্র, যুব পরিষদ এবং সাধারণ মানুষ ও নিপীড়িত জনতার কণ্ঠস্বর হয়ে লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে, তখন সরকার তার গদি হারানোর ভয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার শুরু করেছে। আমরা ভয় পাওয়ার জন্য রাজপথে নামিনি। আমাদের জেল জুলুম দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। বরং ৫৩ জন নেতাকর্মী আটক হওয়ায় সাধারণ মানুষের আরও ঢল এসেছে এই লড়াইয়ে।

তিনি আরও বলেন, আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই অবিলম্বে সব নেতাকর্মীকে মুক্তি দিতে হবে, অন্যথায় ছাত্র, যুব, শ্রমিক অধিকার পরিষদ জনগণকে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।

ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ বলেন, অবিলম্বে আমাদের আটক নেতাকর্মীদের জামিনে মুক্তি দিতে হবে। আমাদের যতই হামলা, মামলা দমন-পীড়ন করা হোক না কেন এতে আমরা মোটেও ভীত নয়; বরং এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের এই সংগ্রাম চলবে।

যুব পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক রহমান সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, এই সরকার লকডাউনের নামে মানুষকে খোঁয়াড়ে করে বাড়ি পাঠাচ্ছে।

সমাবেশে আরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, মোল্লা রহমতুল্লাহ, যুব পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অলক আহমেদ, সদস্য সচিব মঞ্জুর মোর্শেদ, শ্রমিক পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান ও সদস্য সচিব আরিফ হোসেন এবং পেশাজীবী পরিষদের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট তৌফিক শাহরিয়ারসহ ঢাকা মহানগর’র অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।