এরশাদের সিদ্ধান্তে চেয়ার ভাঙেন জাপা নেতাকর্মীরা!

সোমবার ও মঙ্গলবার নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। রবিবার নিজের ভাই জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান করে দলের ভেতর যে সংকট তৈরি হয়, সোমবারে এসে সেটি আরও দ্বিগুণ মাত্রা লাভ করে। এ দিন অব্যাহতিপ্রাপ্ত মহাসচিব জিয়াউদ্দীন আহমেদ বাবলু ঘোষণা করেন, রওশন এরশাদ জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। পাল্টা জবাবে মঙ্গলবার দুপুরে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাবলুকে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের দোষে অব্যাহতি দেন এবং রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব নিয়োগ করেন। তার এই ঘোষণার পর উপস্থিত নেতাকর্মীরা স্লোগান ও করতালিতে মুখর করে তোলেন কার্যালয় প্রাঙ্গণ। এক পর্যায়ে স্লোগানে তোড়ে ধাক্কাধাক্কি ও চেয়ার ভাঙচুর করেন তারা।এরশাদের সিদ্ধান্তে চেয়ার ভাঙেন জাপা নেতাকর্মীরা

সংবাদ সম্মেলনের শুরু থেকেই জাপার নেতাকর্মীরা অনেকটা ছোট আকারে সমাবেশ বানিয়ে ফেলেন কার্যালয়কে।  এরশাদের এক লাইন বক্তব্য শেষ হতেই শুরু হয় হাততালি, নানা ধরনের স্লোগান।

সংবাদ সম্মেলন শেষে এই স্লোগান রূপ নেয় পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর বিরুদ্ধে। তাদের দুগালে জুতা মারার স্লোগান দিতে দিতে এরশাদ, জিএম কাদের ও রুহুল আমিন হাওলাদারের পেছন পেছন কার্যালয়ের সভাস্থল ত্যাগ করে নেতাকর্মীরা।

সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ অব্যাহতিপ্রাপ্ত বাবলুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বাবলু ঘোষণা দেওয়ার কে’। জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান করায় সারা দেশে উল্লাস সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান দলীয় একাধিক সূত্র। জাপার চেয়ারম্যান কার্যালয়ের মতো কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও ছিল উল্লাস। এরশাদের অনুসারী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি আবু হোসেন বাবলা এমপির লোকজন ওই সময় থেকেই কাকরাইলের অফিসটি দখলে রাখে। এর আগে দুপুরে রংপুর থেকে এরশাদ ফিরলে নেতাকর্মীদের নিয়ে সংবর্ধণা দেন বাবলা এমপি। এরপর এরশাদ বনানীতে চলে আসলেও বাবলা নেতাকর্মীরা কাকরাইলে অবস্থান নেয়।

এদিকে কার্যালয়ে স্লোগানের শব্দে এগিয়ে আসে স্থানীয় পুলিশও। পাঁচ জন পুলিশ সদস্য কার্যালয়ের নিচ তলায় অবস্থান নিলে নেতাকর্মী ও সংবাদকর্মীরাও একটু উৎসুক হন। পরে গুলশান জোনের এডিসি আবদুল আহাদ বাংলা ট্রিবিউনকে পরিষ্কার করেন, ‘না, শুনলাম, ঝামেলা হতে পারে। তাই ফোর্স নিয়ে এসেছি।’ এরই মধ্যে এরশাদের কার্যালয়ের বাইরে ১৫-২০ জন পুলিশের টিম উপস্থিত হন। পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।

 

/এসটিএস/এফএস/