রাজধানীর মহাখালীতে বার ভাঙচুর ও কর্মচারীদের মারধরের ঘটনায় যুবদল নেতা মনির হোসেনকে বহিষ্কার করেছে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) রাতে সংগঠনের সহ-দফতর সম্পাদক মিনহাজুল হক তুহিনের সই করা এক চিঠিতে তাকে বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।
বহিষ্কারাদেশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থি নানা অনাচারের কারণে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আওতাধীন বনানী থানার আহ্বায়ক মনির হোসেনকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বহিষ্কৃত নেতার কোনও ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে ৩০ জুন রাতে মহাখালীর একটি বারে গিয়ে মদ্যপান করেন মনির হোসেন। নিজেকে বনানী থানা যুবদলের আহ্বায়ক পরিচয়ে সেখানকার একটি ভিআইপি রুম ভাড়া চান তিনি। তবে তখন সব ভিআইপি রুম পূর্ণ থাকায় হোটেল কর্তৃপক্ষ তার অনুরোধ রাখতে পারেনি। পরে মনির হোটেলের বারে বসে খাবার খান ও মদ্যপান করেন। খাওয়ার পর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা পরিচয়ে ‘ডিসকাউন্ট’ দাবি করলে কর্তৃপক্ষ বিল কমিয়ে দেয়। বিল পরিশোধের পর তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ভিআইপি রুম না পাওয়ায় হোটেল স্টাফদের হুমকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।
পর দিন লিটন চৌধুরী নাহিদ নামে মনির হোসেনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এক ব্যক্তি ওই বারে গিয়ে হঠাৎ গ্লাস ছুঁড়ে ভেঙে ফেলেন। তিনি বারের কর্মচারীদের বলেন, ‘মনির ভাই তোদের হোটেলে আসছিল, তোরা মনির ভাইকে ভিআইপি কেবিন না দিয়ে অসম্মান করেছিস, চিনে রাখিস।’ এরপর লিটন ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন বার ও রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালিয়ে কর্মচারীদের এলোপাতাড়ি মারধর করেন।