ষড়যন্ত্র চলছে, ২০২২ সাল হবে সংকটকাল: সুলতান মনসুর

চলতি বছর রাজনীতির জন্য সংকটকাল হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গণফোরামের সংসদ সদস্য সুলতান মুহম্মদ মনসুর আহমেদ। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মনসুর বলেন, ২০২২ সাল ওমিক্রনের জন্য যেমন অত্যন্ত সংকটকাল, আমি মনে করি রাজনীতির জন্যও হবে একটি সংকটকাল। সংসদনেত্রী, এই বিষয়টি আপনাকে লক্ষ রাখতে হবে। দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডাকসু ভিপি সুলতান মনসুর সংস্কারপন্থী হওয়ার প্রেক্ষাপটে ওয়ান ইলেভেনের সময় আওয়ামী লীগ থেকে ছিটকে পড়ে। একযুগ ধরে তিনি সরকারের নানা সমালোচনা করেছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে গণফোরামের মনোনয়ন পেয়ে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সম্প্রতি তাকে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করতে দেখা যায়।

মনসুর তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ধারাবাহিক প্রধানমন্ত্রী থাকার মধ্য দিয়ে যে উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি করেছেন, সেই উন্নয়নে বাধা সৃষ্টির জন্য অনেকে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

নিজের রাজনৈতিক অবস্থানের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক অবস্থান একরকম। বিশ্বাস একরকম। বর্তমান অবস্থান একরকম। সব মিলিয়ে আমাকে ইতিহাসের পক্ষে কথা বলতে হবে। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে কথা বলতে হবে।

তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের মধ্য থেকে রাজনীতিকে এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু পরীমনি, খুকু মনি আর রুকু মনিদের কাহিনী পত্রিকায় পড়লে বাংলাদেশের বর্তমান নতুন প্রজন্ম হতাশ হয়। সমাজ দূষিত করতে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে পরীমনি আর খুকু মনিদের। এটি একটি ষড়যন্ত্র।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অধ্যাপক জাফর ইকবাল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙিয়েছেন। সেখানে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছিলেন না? ওই অঞ্চলে কী রাজনৈতিক নেতৃত্ব নেই? তারা কী করেছেন? জাফর ইকবাল ওনার ইচ্ছায় গেছেন তা মনে করি না। নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী সেই ব্যবস্থা করেছেন।