দেশ রক্ষায় জাতীয় সরকার ছাড়া উপায় নেই: রব

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘দেশকে রক্ষা করতে হলে জাতীয় সরকার গঠন করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। সরকার ক্ষমতায় থেকে জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ধ্বংস করে দিলো। এই দল ক্ষমতায় থাকলে কখনও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না।’

বুধবার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবসের ৫১ বছর উপলক্ষে জেএসডি আয়োজিত স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ অনুষ্ঠানে আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, এই সরকারের অধীনে আমরা কোনও নির্বাচন করবো না। আমরা এই সরকারকে মানি না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পদত্যাগের পর ঐক্যবদ্ধভাবে ন্যূনতম সময়ের মধ্যে ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে। নির্বাচন কমিশন করে ফাজলামো করে কোনও লাভ হবে না। বর্তমান সরকারের ওপর জনগণের আস্থা নেই।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার সব খেয়ে ফেলেছে। দেশটাও খেয়ে ফেলছে, স্বাধীনতা খেয়ে ফেলছে। তাই আমি আজ পতাকা উত্তোলনের কোনও স্মৃতিচারণ করবো না। ৫০ বছরের স্বাধীন বাংলাদেশকে সরকার নৈতিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রশাসনকে দলীয় সম্পদে রূপান্তর করা হয়েছে।’

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন প্রসঙ্গে প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী এই নেতা বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে যাদের অবদান তাদের কাউকেই এই সরকার স্মরণ করে না। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে, কিন্তু মাওলানা ভাসানীর নামটা একবার উচ্চারণ করা হয়নি। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে যিনি নয় মাস সরকার চালিয়েছেন, সেই তাজউদ্দীনের নামটাও একবার উচ্চারণ করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানীর নামও একবার উচ্চারণ করেনি। কাদের সিদ্দিকীর নাম একবার উচ্চারণ করা হয়নি। স্বাধীনতার ইতিহাস এক দল ও এক পরিবারের কাছে বলি দেওয়া হয়েছে।’

স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর প্রমুখ।