‘বাণিজ্যমন্ত্রী যখনই বলেন জিনিসপত্রের দাম কমাবেন, পরদিনই বেড়ে যায়’

বাণিজ্যমন্ত্রী যখনই বলেন জিনিসপত্রের দাম কমাবেন, পরদিনই বেড়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। বাণিজ্যমন্ত্রী সিন্ডিকেটে জড়িত কিনা এমন প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

রবিবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে অর্থবিল, ২০২৩-এর সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে চুন্নু এসব কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

চুন্নু বলেন, সুইস ব্যাংক থেকে বাংলাদেশিদের ডলার সরিয়ে নেওয়া হলো। ওই টাকাগুলো কারা রেখেছিল। কোনও সংস্থা নাই, ইন্টারন্যাশনালি ভাড়া করতে পারেন না যে চোরের ঘরের চোরগুলো কারা। কারা টাকা পাচার করে এ সমস্ত ব্যাংকে রাখছে। বের করেন না একটু। ব্যাংকে এত পরিচালক দিলেন, ১২ বছর থাকতে পারবে দিলেন, ব্যাংকের লোকেরা পরিচালকরা যে লোন নেয়, আবার দেখা যায় টাকা নিয়ে চলে যায়, এগুলো একটু নিয়ন্ত্রণ করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক করেটা কী? এত টাকা মার যায়, এটা কি বাংলাদেশ ব্যাংক জানে না? এটা যে ব্যাড লোন, এটা কি বাংলাদেশ ব্যাংক জানে না? হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে চলে যায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানে না? এগুলো শক্ত হাতে ধরেন। এত নরম হলে, চুপচাপ বসে থাকলে হবে না, ধরেন ঘাড়ের মধ্যে, ভালো করে ধরেন।

জাপা এমপি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীকে বলবো, গ্রামের মানুষ খুব কষ্টে আছে। জিনিসপত্রের দামের কারণে। এক মণ ধান বিক্রি করে ১ কেজি গরুর মাংস কেনে। ধান এক মণ ৯০০ টাকা বিক্রি করে, গরুর মাংস ৮০০ টাকা। এক মণ ধান বিক্রি করে এক কেজি খাসির মাংস কিনতে পারি না, ১১০০ টাকা। এক কেজি ইলিশ মাছ কিনতে লাগে দুই মণ ধান। ছোটখাটো কৃষকরা আসলে খুব কষ্টে আছে। একদম নিম্নবিত্ত যারা, কষ্টে আছে, তাদের প্রতি একটু সহনশীল হন, বাজার একটু নিয়ন্ত্রণে নেন।