উল্লেখ্য,গত শনিবার জাসদ (ইনু)অংশের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শিরীন আক্তার।সাধারণ সম্পাদক পদটিকে কেন্দ্র করে সম্মেলন স্থলে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে।এক পর্যায়ে সম্মেলন স্থল ত্যাগ করে পাল্টা কমিটি ঘোষণা করেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া।
সূত্র জানায়,রবিবার বিভক্ত জাসদের ভেতরে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে সভাপতি হাসানুল হক ইনু দূতিয়ালির দায়িত্ব দেন দলটির উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মনিরউদ্দিন আহমেদকে। রবিবার দিনভর জাসদের ভেতরে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা চালাচালি করে সমঝোতার চেষ্টা করেন মনির। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার এ উদ্যোগ সফল হয়নি বলে জানা গেছে। বেরিয়ে আসা অংশের নেতারা জানিয়েছেন, গত শনিবার তথাকথিত কণ্ঠভোটের মাধ্যমে যাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে তাকে বাদ দিয়ে পুনরায় ভোটের আয়োজন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেই কেবল ঐকের জন্যে আলোচনায় বসতে পারি।
সূত্র জানায়,জাসদের একাংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও তার অনুসারীরা মনিরউদ্দিনের এ উদ্যোগে সায় দেননি। তবে একীভূত করতে চাইলে পুনরায় সম্মেলন করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছে আম্বিয়া গ্রুফ।বরং ভাঙনের ক্ষেত্রে ইনুকে দায়ি করে তারা পাল্টা শর্ত জুড়ে দিয়ে বলেন, স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ বন্ধ হলে, জাসদের নেতাকর্মীরা চাইলেই কেবল একীভূত হতে পারে জাসদ। অন্যথায় এক হওয়ার কোনও সুযোগ নেই।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে একাংশের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন,হাসানুল হক ইনুর পক্ষে কিছু প্রস্তাব নিয়ে কয়েকজন আমাদের কাছে এসেছেন। এর মধ্যে অন্যতম উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মনিরউদ্দিন আহমেদ। প্রধান বলেন, মনির আহমেদ আমাদের কাছে প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন সভাপতির পদ থেকে হাসানুল হক ইনু সরে যাবেন। তারপরও যেন জাসদে ঐক্য ফিরে আসে। প্রধান আরও বলেন, আমরা তাকে জানিয়ে দিয়েছি সভাপতি নিয়ে আমাদের কোন আপত্তি নেই। আমরাই তাকে সভাপতি নির্বাচন করেছি।ঐক্য হতে পারে একটি শর্তে। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার আগে যে কণ্ঠভোট হয়েছে তা বাতিল করতে হবে। সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় ভোটাভুটি করতে হবে। এখন সেই সুযোগ আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন,অবশ্যই আছে।
তবে একটি সূত্র জানায়,ইনু সভাপতির পদ থেকে সরে গিয়ে হলেও জাসদের ঐক্য ফিরিয়ে আনতে চান। তাই মনিরউদ্দিন আহমেদকে দূত হিসেবে আম্বিয়া গ্রুপের কাছে সমাঝোতার প্রস্তাব নিয়ে পাঠান তিনি। আম্বিয়া গ্রুপের নেতারা জানান, সভাপতি নয়,সাধারণ সম্পাদক পরিবর্তন হলেই কেবল তারা ঐক্যের ব্যাপারে আলোচনায় বসতে রাজি আছেন।
সমঝোতার চেষ্টা চলছে কি-না জানতে চাইলে জাসদ (ইনু) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তার বলেন, আমরা এখনও আশা করি বেরিয়ে যাওয়া অংশের নেতারা আমাদের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী। উনারা উনাদের ভুল বুঝতে পেরে দলে ফিরে আসবেন। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এসব পরিবর্তন বা বাতিল করার এখন কোনও সুযোগ নেই বলে তিনি জানান। শিরীন বলেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুটি পদেই কাউন্সিলররা ভোট দিয়েছেন। তারাই নেতা নির্বাচন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে একাংশের কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল ইনুর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন,আমাদের কাছে ঐক্যের প্রস্তাব এসেছে আমরা জানিয়ে দিয়েছি স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ বন্ধ না হলে ঐক্যের কোনও সম্ভাবনা নেই।
পিএইচসি/এমএসএম