এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরকে নিয়ে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিনের ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়েও সমালোচনা করা হয়। বৈঠকে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের রায় নিয়ে প্রধান বিচারপতিকে জড়িয়ে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হোসেনের সমালোচনা করেন কয়েকজন নেতা।
সূত্র জানায়, দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার জের ধরে অর্থমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত ঘটান। পরে সাংগঠিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমসহ প্রায় সব নেতাই এই প্রসঙ্গে কথা বলেন। তারা বলেন, অর্থমন্ত্রী একটি স্পর্শকাতর বিষয়কে ব্যক্তি পর্যায়ের রেষারেষিতে নিয়ে গেছেন। তার আচরণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। সরকার বিব্রত হয়েছে।
এ সময় তারা দৈনিক প্রথম আলোয় দেওয়া অর্থমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারেরও কঠোর সমালোচনা করেন। দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নেতাদের অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে অর্থমন্ত্রীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, সব বিষয়ে সবাইকে বক্তব্য দিতে হবে কেন? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাদের সঙ্গে সূর মিলিয়ে বলেন, আমাদের আজ বিরাট অংকের রিজার্ভ রয়েছে। এর পেছনে কিন্তু ড. আতিউর রহমানের বড় একটি ভুমিকা রয়েছে—এটা ভুলে গেলে চলবে না।
বৈঠকে লেলিনের ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে কথা উঠলে, তিনি তার নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চারিদিকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি দলের নেতাদের বেফাঁস কথাবার্তা না বলে সংযতভাবে কথা বলার পরামর্শ দেন।
বৈঠকে ৮টি জেলা কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ১৮ এপ্রিল ঢাকায় জনসভা, মে দিবস উপলক্ষে আগামী ১ মে উপলক্ষে চট্টগ্রামে জনসভার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া, ৭ জুন ৬ দফা দিবসের ৫০তম বার্ষিকী, ২৩ জুন দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ২০২০ সালের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী জাকজমকপূর্ণভাবে পালনে শিগগিরই উদযাপন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
/এমএনএইচ/