বর্তমান সরকার সংখ্যালঘুদের শতভাগ নিরাপত্তা দিচ্ছে—এটা দাবি করছি না। তবে, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হবে, আর শেখ হাসিনা সরকার ঘরে বসে থাকবে, তা হবে না। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুরা সবসময়ই একটা অস্তিত্বের সংকটে থাকে। এর বিরুদ্ধে আপনি একা কেন রুখে দাঁড়াবেন? আমি কেন রুখে দাঁড়াব না? কেন আমরা বাংলাদেশে তাদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি না? কিন্তু আমরা যতই আশা করি, কিছু মানুষ আছে; যারা অবিচার করে।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, একজন হিন্দুকে হিন্দু বলে, খ্রিস্টানকে খ্রিস্টান বলে, গারোকে গারো বলে নির্যাতন করা হবে, বাড়ি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হবে। এটা কোনও সভ্য মানুষের কাজ নয়। আমাদের যেভাবেই হোক সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে হবে।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কেন তাদের রক্ষায় এগিয়ে আসব না? এটি শুধু ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অস্তিত্বের বিষয় নয়, এটা জাতির অস্তীত্বের বিষয়। আসুন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব রক্ষায় রুখে দাঁড়াই। কারণ তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন করে আমিও নিরাপদ থাকব, এটা হতে পারে না।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ প্রমুখ।
/পিএইচসি /এমএনএইচ/