‘রিজার্ভ চুরি ও তনু হত্যা চাপা দিতেই খালেদার পরোয়ানা’

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন,বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি,সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ড ও ইউপি নির্বাচনের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই সরকার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এক সমাবেশে তিনি এমন অভিযোগ করেন।ঢাকা মহানগর বিএনপি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন,’৮০ জন চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়লাভ করেছেন।এটা নজীরবিহীন। এমন ঘটনা অতীতে কখনও ঘটেনি।তাই ইউপি নির্বাচন,তনু হত্যা ও রিজার্ভ চুরির মতো ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।’
সাবেক এ মন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন,‘কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের মতো একটি প্রোটেকটেড এরিয়ায় তনু কিভাবে নিহত হয়?’
ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির প্রসঙ্গে বলেন,‘সুইফট কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ব্যাংকে তিনটি কম্পিউটার সরবরাহ করেছে, যেগুলো খুবই সুরক্ষিত। তারা বলেছে, একজনের কাছে একটি ডিভাইস, আরেকজনের কাছে একটি চাবি এবং আরও তিনজনের কাছে কোড নম্বর আছে।তাই এই পাঁচজন যদি একত্রে না হয়,তাহলে এই সিস্টেমের ভেতরে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।’
তিনি বলেন,‘যদি কিছু ঘটে থাকে,তাহলে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ সহযোগিতায় ঘটেছে।আর সরকার এ নিয়ে চুপ।এই অর্থ চুরি নিয়ে ফিলিপাইনের উচ্চ আদালতে শুনানি চলছে। অথচ দেশে সরকারের কোনও কথাই এখন শুনিনি আমরা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল -নোমান বলেন,‘ বিএনপি জনগণের ব্যালট জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে চায় বলেই আজ  খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।’
খালেদা জিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রসঙ্গে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন,‘সরকার খালেদার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছে।কিন্তু সরকার তাকে গ্রেফতার করতে পারবে না।আর যদি খালেদা গ্রেফতারও হন,তাহলে তাকে জেলে রাখতে পারবে না। কারণ, জনগণ জেলের তালা ভেঙে তাকে বের করবে।’

সকল নেতা-কর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে নোমান বলেন, ‘খালেদার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট বের হলে, সবার প্রথমে আমি স্বেচ্ছায় গ্রেফতার হবো।এভাবে সারা দেশের নেতা-কর্মীরা স্বেচ্ছায় গণ-গ্রেফতার হবেন।’

ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল আওয়াল মিন্টুর সভাপতিত্বে প্রতিবাদে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক, যুবদল সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল,বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল কবীর খোকন প্রমুখ।

এসআইএস/ এমএসএম