উল্লেখ্য, জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ দুটি পুরস্কারে ভূষিত করায় ২৬ সেপ্টেম্বর তাকে গণ সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগ। এ দিনটিতে বিশাল জমায়েতের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করবেন দলটির নেতাকর্মীরা। এরই অংশ হিসেবে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান সফল করতে আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে তাদের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকার আশপাশের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে যৌথসভায় মিলিত হন করে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈযদ আশরাফুল ইসলাম।
যৌথসভায় মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ব্যানার-পোস্টারে ছবি ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়টি আলোচনায় আনলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছবি ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বলেন, ‘আমাদের দলীয় একটি সিদ্ধান্ত আছে। সে অনুযায়ী দলীয় কোনও অনুষ্ঠানে ব্যানার-পোস্টারে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়—এ তিন জনের ছবির বাইরে আর কারও ছবি ব্যবহার করা যাবে না। এই অনুষ্ঠানেও এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনজনের ছবি ছাড়া আপনারা আর কারও ছবি ব্যবহার করবেন না।’
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খলিদ মাহামুদ চৌধুরী ব্যানার-পোস্টারে নাম ব্যবহার করা যাবে কিনা—জানতে চাইলে জনপ্রসাশনমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যানার-পোস্টারের নিচে সৌজন্যে দাবিদাররা তাদের নাম ব্যবহার করতে পারবেন। এই নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
/এমএনএইচ/