চীন ও বাংলাদেশের মানসচরিত্র সম্পর্কে বলতে গিয়ে আশরাফ বলেন, ‘চীনের নৈতিক আদর্শের সঙ্গেও আমাদের মিল আছে। সুতরাং উভয় দেশের মেলবন্ধন যতটুকু না রাজনৈতিক তার চেয়ে বেশি আত্মিক। ভারতবর্ষের সভ্যতার মতোই চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক পুরনো। হাজার বছর আগে জ্ঞানতাপস অতীশ দীপঙ্কর পায়ে হেঁটে চীন পৌঁছেছিলেন এ অঞ্চলের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য। দুই দেশের উন্নয়নের কথা ভেবে সে সম্পর্ক আজও অব্যাহত আছে।’
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে চীনা রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘চীনের রাষ্ট্রপতি আমাদের দেশের মাটিতে শিগগিরই পা রাখবেন। এটা দুই দেশের জন্যই আলোচিত ঘটনা। ঐতিহাসিক প্রয়োজনেই আত্মিক সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সম্প্রতি বৃদ্ধি পাবে।’
এসময় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়াকে রসিকতার করে আশরাফ বলেন, ‘একসময় দাদা একা চীনা মানুষ ছিলেন, এখন আমরা অনেকেই আছি।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর ইয়াং জাও হুই বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নের সঙ্গে নানাভাবে সম্পৃক্ত আছি এবং থাকবো। আমরা চাই দুই দেশের সু-সম্পর্কের মাধ্যমে উন্নত চিন্তার বিকাশ ঘটবে।’
দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর ইয়াং জাও হুই। বক্তব্য রাখেন- গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাম্যবাদীদলের পলিটব্যুরোর সদস্য লুৎফর রহমান।
/পিএইচসি/এমও/