প্রস্তাবিত বাজেট সংশোধনের দাবি ১৪ দলীয় জোটের

১৪ দলীয় জোটনতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের কয়েকটি বিষয় জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করে ক্ষমতাসীন ১৪ দল। প্রস্তাবিত বাজেটে যে বিষয়গুলো জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, সেগুলো সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন আওয়ায়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন এই জোটের নেতারা। রবিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দল  আয়োজিত সভায় তারা এই দাবি জানান।

প্রস্তাবিত বাজেট ও ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ নিয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি বিশাল অংকের উচ্চাভিলাষী বাজেট দেওয়ায় অর্থমন্ত্রীকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। তবে আমানাত, আবগারি শুল্ক ও সারচার্জসহ কয়েকটি বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি, এ বিষয়ে আমাদের পর্যবেক্ষণ রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী বাজেট প্রমাণ করে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশের দিকে আমরা এগিয়ে যাব।’

বৈঠকের সভাপতি ও জাসদের (একাংশ) সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, ‘বাজেটের কিছু বিষয় সংশোধনের প্রয়োজন আছে। আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক  বাড়ানোর বিষয়টি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি আমরা।’

এদিকে বাজেট নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্যের বিষয়ে সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেটের ৮ ঘণ্টার মধ্যেই না পড়ে, না বুঝে একটি ইফতার মাহফিলে গিয়ে তিনি মিথ্যা বলেছেন। এটি তার চরিত্র।’ তিনি বলেন, ‘এ বাজেট গরিবকে সাহায্য করবে। কিন্তু তারা (বিএনপি) সমালোচনা করতে অভ্যস্ত, আমাদের সমর্থন তারা করতে পারেন না। হাওয়া ভবন বানিয়ে যারা ধনীর স্বার্থরক্ষা করেছেন, তাদের মুখে এসব (গরিব শোষণের বাজেট বলা) শোভা পায় না।’

অর্থনীতিবিদদের বক্তব্যের সমালোচনা করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘বিশ্লেষণে কিছুটা নেগিটিভ না বললে তারা আবার অর্থনীতিবিদ হবেন কিভাবে? এটা তাদের অভ্যাস।’

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি প্রেসক্রিপশন শুরু হয়ে গেছে। এ অধিকার তাদের কে দিয়েছে? সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।’  তিনি বলেন, ‘জামায়াত-বিএনপি হুমকি দিচ্ছে। তারা চক্রান্ত করে ব্যর্থ হয়েছিল, হেফাজত চক্রান্ত করে ব্যর্থ হয়েছে। সামনে কোনও চক্রান্ত হলে, প্রেসক্রিপশন দিলে, সেটি প্রতিহত করতেও আমরা মাঠে নামব।’

রাঙামাটির লংগদুর ঘটনায় ১৪ দল উদ্বেগের কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,  ১৪ দলের প্রতিনিধিরা আগামী ৬ জুন ওই এলাকায় যাবেন।’ এছাড়া ৭ জুন কক্সবাজারসহ ঘূর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ১৪ দলের আরেকটি প্রতিনিধিদল যাবে বলে জানান তিনি।

/পিএইচসি/এমএনএইচ/