‘ফরহাদ মজহার উদ্ধার হওয়ায় বিএনপি নেতারা হতাশ’

ড. হাছান মাহমুদকবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার অপহরণের পর স্বল্প সময়ে উদ্ধার হওয়ায় বিএনপি নেতারা হতাশ হয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ন্যাপ-ভাসানী আয়োজিত ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বর্তমান সরকারের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদের ভাষ্য, ‘আমরা জানতে পেরেছি, ফরহাদ মজহার আদালতে বলেছেন— সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য কেউ তাকে অপহরণ করে থাকতে পারে। সুতরাং তার অপহরণের পেছনে বিএনপির কোনও নেতা জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’
আ.লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘ফরহাদ মজহার অপহরণ হওয়ার পর সরকারের নির্দেশনা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সফল অভিযানের কারণে দ্রুত তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এতে বিএনপির নেতারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তারা আশা করেছিলেন, এটাকে ইস্যু বানিয়ে কয়েকদিন রাজনীতি করবেন। কিন্তু তাদের সেই আশা পূরণ হয়নি। বিএনপিই প্রতিনিয়ত সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে। সুতরাং তারাই সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করে থাকতে পারে।’
রাঙামাটি সফরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলার প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদের অভিযোগ, ‘তার যাওয়ার কথা ছিল রাঙামাটি সড়ক দিয়ে। পুলিশকে সেভাবেই জানিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যাচ্ছিলেন কাপ্তাই সড়ক দিয়ে। এর কারণ কী? প্রধানমন্ত্রী তখন রাষ্ট্রীয় সফরে সুইডেনে ছিলেন। তবুও বিএনপি নেতারা তার সমালোচনা করেছে। কিন্তু এর কয়েকদিন পরেই ফখরুল সাহেব অস্ট্রেলিয়ায় গেলেন। তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে, কী বিদেশযাত্রার আগে ইস্যু তৈরি করতেই তিনি ভিন্নপথে রাঙামাটি যাচ্ছিলেন?’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি বঙ্গদ্বীপ এম এ ভাসানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মো. সারোয়ার হোসেন, স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল প্রমুখ।

/পিএইচসি/জেএইচ/