সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের একজন নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতা বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও রাষ্ট্রপতিসহ আমরা কেউই সংবিধানের ঊর্ধ্বে নই। তাই সংবিধান স্বীকৃত সত্যকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় প্রসঙ্গে টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদের এমপিদের সমালোচনা করা গেলে অন্যদের সমালোচনা কেন করা যাবে না?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আরও নতুন নতুন ষড়যন্ত্র হতে পারে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ কেউ কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। আমরা সমালোচনা করব গঠনমূলক।’
সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায় পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাকালে আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘মামলার রায়ের পর আপিল ডিভিশন যদি তা পেন্ডিং করে দেন, তাহলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন।’ বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা, উপস্থিত নেতাদের এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসবে, এটা ধরেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। এছাড়া বিএনপি নির্বাচনে না এলে অংশগ্রহণমূলক হবে না, এই ধারণাও পাল্টাতে হবে। বিএনপির একক নির্বাচন বয়কটে কিছু আসবে যাবে না। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আরও অনেক আছে।’
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেন। কিন্তু আমাদের আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আবার ক্ষমতায় আসব। শেখ হাসিনা এমন কিছু করেননি যে, আমরা ক্ষমতায় আসতে পারব না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের এমন কিছু করা যাবে না, এমন কোনও কথাবর্তা বলা যাবে না, যাতে দলের নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েন।’
সভায় শেখ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘অ্যাটর্নী জেনারেল কার্যালয়ে অন্য যারা কাজ করেন, তারা আমাদের আদর্শের লোক কিনা, সে বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া উচিত।’
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ‘আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে হবে, এই বক্তব্য না রেখে আমাদের বলতে হবে, নির্বাচন হবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে।’ এ সময় সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে, তা সংবিধানে বলা আছে। সুতরাং সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, এই অবস্থানই জানাতে হবে।’ এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেও।
/এমএনএইচ/