১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ছবির সঙ্গে নিজের ছবি ব্যবহার করে তৈরি করা নানা পোস্টারে ছেয়ে গেছে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক। শোক দিবস উপলক্ষে ব্যানার-পোস্টার করা হলেও এসবের মূল উদ্দেশ্য আত্মপ্রচারণা। ব্যানার-পোস্টার ও লিফলেট দেখেই বোঝা যায় পাড়া-মহল্লায় নিজেদের কদর বাড়ানো ও আত্মপ্রচারণারই এর মূল কারণ, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সাধারণত বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, শোক দিবসগুলো এলেই আত্মপ্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে পাড়া-মহল্লার, ওয়ার্ড, থানার নেতারা। জাতির জনক ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের ছবির তুলনায় নিজেদের বড় বড় ছবি ব্যবহার করে বানানো সেসব ব্যানার-পোস্টারে ছবি ব্যবহারের নির্দেশনা না মেনেই আত্মপ্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে উঠে তারা। এবারের শোক দিবসেও এর ব্যতয় ঘটেনি। ঢাকা শহর ঘুরে দেখা গেছে এমন অসংখ্য ব্যানার, পোস্টার।
৩৩নং ওয়ার্ড যুবলীগ ঢাকা উত্তর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ব্যানার-পোস্টার লাগিয়েছে। ওয়ার্ড যুবলীগের এই পোস্টার ও ব্যানারগুলোতে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, যুবলীগের আরেক নেতা মঈনুল হোসেন খান নিখিল ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের।
দলীয় নেতাকর্মীদের আত্মপ্রচারণা ঠেকাতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ছবি ব্যবহারের ওপর সংযত হতে একটি নির্দেশনা জারি করা আছে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে দেওয়া নির্দেশনায় বলা রয়েছে, ‘পোস্টার-ব্যানার, বিলবোর্ড ও লিফলেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছাড়া কারও ছবি ব্যবহার করা যাবে না।’ ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে সেই নির্দেশনা অমান্য করেই ব্যানার-পোস্টার ও লিফলেটে দেখা যাচ্ছে।
জানতে চাইলে দলের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ছবি ব্যবহার করা নিয়ে দলীয়ভাবে আরও কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এগুলো আসলে নেতাদের অতি উৎসাহী অনুসারীরাই করে থাকে। তারা নেতার পাশে ছবি ব্যবহার করে নিজেদের প্রচারণায় আনতে চায়। এ ব্যাপারে সবারই সচেতন হওয়া জরুরি।’
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন
/এমও/