সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা উন্নয়ন ও অর্জনের এমন অবস্থায় পৌঁছেছি, যেখানে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। এক পদ্মা সেতু করে শেখ হাসিনা যা করেছেন, বিএনপির সারা শাসনামলেও দেখানোর মতো তেমন একটা উন্নয়ন কোথাও নেই।’ তিনি বলেন, ‘তাহলে কেন আমরা বিএনপিকে ভয় পাব? আমরা চাই, বিএনপি নির্বাচনে আসুক। আমরা শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে পরাজিত করে আবারও বিজয় অর্জন করতে চাই।’
এর আগে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা দিতেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর বিএনপি আদালতের প্রশংসা করেছে। এখন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া এত অনীহা কেন? নিজেদের বেলা হলে সরকারের দোষ। সরকারের বিরুদ্ধে হলে বিচার বিভাগ স্বাধীন! আমি প্রথমে প্রশ্ন করব, মির্জা ফখরুল সাহেবকে। এই গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ কার? সরকার, না আদালতের?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি তো সরকার করেনি। এটা আইনের ব্যাপার। এটা মামলা সংক্রান্ত বিষয়। আদালত যখন ষোড়শ সংশোধনী রায় দিয়েছেন, তখন বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন।’ তিনি বলেন, ‘যখন আদালত বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে বার বার পরোয়ানা জারি করলেও তিনি হাজির হন না। ১৫০ বার তারিখ হাজিরা মিস করেছেন, এভাবে সময়ের পর সময় তারিখের পর তারিখ বদলান তিনি। এখন তো তিনি বিদেশে। দলের কাছ থেকে ছুটি নিয়েছেন দুই মাসের, চার মাস পার হয়েছে।’
পার্বত্য বৌদ্ধ সংঘের সভাপতি ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্থানীয় সংসদ সদস্য কামাল আহম্মেদ মজুমদার, সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) অনুপ কুমার চাকমা, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তাফা প্রমুখ।