৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব স্বীকৃতি: নাগরিক সমাবেশ কাল

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ভাষণ দেওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান১৯৭১ সালের ৭ মার্চে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নাগরিক সমাবেশ। শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এর আয়োজন করেছে দেশের নাগরিক সমাজ।

সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এখানে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করবেন এমিরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।

সমাবেশ আয়োজনে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নাগরিক কমিটি। রাজধানীর মূল সড়কসহ বিভিন্ন অলিগলিতে সাজানো হয়েছে ডিজিটাল ব্যানার। সমাবেশ স্থলের আশপাশের এলাকায় রয়েছে আলোকসজ্জা। নাগরিক সমাবেশ সফল করতে ঢাকায় চলছে মাইকিং প্রচারণা। এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন সামাজিক, পেশাজীবী, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।

পাশাপাশি বিভিন্ন প্রস্তুতি নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দফায় দফায় যৌথ সভা করে নেতাকর্মীসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোকে বিশেষ দিকনির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি।

সমাবেশের কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। এর সদস্যরা হলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, ডা. সারওয়ার আলী, হারুন-অর-রশিদ ও অসীম কুমার উকিল।

নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য দেবেন সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ইউনেস্কোর কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ) বিট্রিস কালদুল।

আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল জানান, আলোচনা ছাড়াও সমাবেশে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এখানে আবৃত্তি করবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও কবি নির্মলেন্দু গুণ।

শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের কণ্ঠে সমবেত গানের পর থাকবে একক সংগীত। লোকগান পরিবেশন করবেন চন্দনা মজুমদার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকবেন রামেন্দু মজুমদার ও শহীদ বুদ্ধিজীবী আবদুল আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী।

৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৪৫ বছর আগে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ১৮ মিনিটের ভাষণে শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন— ‘এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকো।’ অনেকের মতে, এই ভাষণের মাধ্যমে তিনি মুক্তিযুদ্ধের দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। এরই সূত্র ধরে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।