খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড ইস্যুতে চাপমুক্ত আ. লীগ

 

আওয়ামী লীগজিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের রায় পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে এখন চাপমুক্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার ৫দিন পরও বড় ধরনের কোনও ঝামেলায় পড়তে হয়নি সরকারকে। বিষয়টি নিয়ে ভবিষ্যতেও  আওয়ামী লীগ ও সরকারের ওপর দেশি-বিদেশি চাপ সৃষ্টির কোনও শঙ্কা নেই বলেই মনে করছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। বিএনপি নেত্রীর কারাদণ্ডের বিষয়টি নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কোনও আশঙ্কা আর নেই বলেও তারা মনে করছেন।

আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের মতে, খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড  ইস্যুতে দেশে কোনও নাশকতা করতে পারেনি বিএনপি। এছাড়া সরকারের ওপর বিদেশি চাপও সৃষ্টি করতে পারেনি। এই প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডকে ইস্যু করে কোনও অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেয়নি সরকার। এ ক্ষেত্রে সরকার দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে।’

এদিকে ক্ষমতাসীন দলটির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার মতে, খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের বিষয়টি এখন ডেড ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ বা সরকারের ভেতরে এখন কোনও দুর্ভাবনা নাই। তারা বলছেন, বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত কিছুটা দুশ্চিন্তা থাকলেও এখন আর নেই।

খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের বিষয়টি নিয়ে  তার দল কোনও ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না করার জন্য বিএনপিকে ধন্যবাদ জানান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে ক্ষমতাসীন দলটির কোনও কোনও নেতার মতে, বিএনপি দেশে অস্থিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। কিন্তু সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে সফল হতে না পরে সংযত থাকতে বাধ্য হয়েছে। এই প্রসঙ্গে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বলেছি, এটি আইন-আদালতের বিষয়। মামলার রায়কে ইস্যু করে অস্থিরতার চেষ্টা করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটাই মাথায় রেখেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাই তারা কোনও ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানোর সাহস  করেননি।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য ফারক খান বলেন, ‘আমরা চাই, বিএনপি গণতান্ত্রিক আচরণ করুক। এতে তাদেরই মঙ্গল।’ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি অগণতান্ত্রিক পথে পা বাড়িয়েছে। তার মাশুল তাদের আজও দিতে হচ্ছে।’