নির্বাচন নিয়ে ভারতের নাক গলানোর কিছু নেই: ওবায়দুল কাদের

বিমানবন্দরে কথা বলছেন ওবায়দুল কাদের (ছবি: সংগৃহীত)আগামী সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের নাক গলানোর কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘বিদেশি শক্তি আমাদের বন্ধু হতে পারে। কিন্তু নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে আমার তা আশা করি না। আর ভারত নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে না। এবারও করবে না। প্রতিবেশী দেশ ভারতের এক্ষেত্রে নাক গলানোর কিছু নেই। এসব ব্যাপার আমরাই ঠিক করবো।’ মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে ভারত সফর শেষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে তিনি এসব বলেন।

সেতুমন্ত্রীর ভাষ্য, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে আজ আমরা ক্ষমতায় আছি, কাল নাও থাকতে পারি। আমাদের ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ। ক্ষমতায় কে থাকবে তা দেশের জনগণই নির্ধারণ করবেন।’

ভারত সফর প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভারতের ক্ষমতাসীন পার্টির আমন্ত্রণে আমরা তাদের দেশে গিয়েছিলাম। সেখানে পার্টি টু পার্টি আলোচনা হয়েছে। তাদের অনেক নেতার সঙ্গে কথা হয়েছে আমাদের। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সীমান্ত চুক্তির জন্য আমরা তার প্রশংসা করেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসাও করেছেন তারা। আমাদের পানির জন্য যে হাহাকার আছে তা উপস্থাপন করেছি। আমরা আশা করি, একদিন তিস্তা চুক্তিও হবে। এটা হলে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের স্বার্থে আমরা যেকোনও দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে পারি। আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিজেপি। আমরা কি সেখানে খেতে, বেড়াতে ও আনন্দ-উল্লাস করতে গিয়েছিলাম? আমরা তাদের সঙ্গে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো। আমরা কিছু গোপন করতে চাই না। এসব বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বলবো, যেন কোনও গুজব না ছড়ায়।’

ওবায়দুল কাদেরের কথায়, ‘ভারতের সাংবাদিকরাও অনেক চেষ্টা করেছেন, কিন্তু আমরা কিছুই বলিনি। আমাদের ইচ্ছে ছিল দেশে ফিরে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সবকিছু বলবো।’

এর আগে প্রতিনিধি দলকে বিমানবন্দরে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও কার্যনির্বাহী সদস্য আমিরুল আলম মিলন।