জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সব নেতাকে ফেসবুক লাইভে আসতে উচ্চপর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। সম্পাদকমণ্ডলীর তিন নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন, ঈদের পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রথম ফেসবুক লাইভে এসে এই কর্মসূচি শুরু করবেন। পর্যায়ক্রমে অন্য কেন্দ্রীয় নেতারাও আসবেন ফেসবুক লাইভে। তারা জানান, লাইভ অনুষ্ঠান করে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরবেন নেতারা। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ লক্ষ্যও সেখানে বর্ণনা করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে উচ্চপর্যায় থেকে দলীয় নেতাদের বলা হয়েছে। সব কেন্দ্রীয় নেতাকে ফেসবুকে ফলোয়ার বাড়াতেও বলা হয়েছে। কারণ আগামী সংসদ নির্বাচনে এই মাধ্যম যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে।’
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর একাধিক নেতা বলেন, ‘সবার কাছে সহজে পৌঁছাতে এমন শক্তিশালী মাধ্যম আর হতে পারে না বলে মনে করে দলটির শীর্ষস্থানীয়রা। তাই সবাইকে ফেসবুকসহ যত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আছে সেগুলোতে নিজেদের ভিউয়ার বাড়াতে বলা হয়েছে।’
দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের বেশকিছু সংসদ সদস্য ও কয়েকজন মন্ত্রী ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার শুরু করেছেন। অন্যদেরকেও এই তালিকায় যুক্ত হতে বলা হয়েছে।
সরকারের মন্ত্রীরা ও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব। সম্প্রতি এই সংখ্যা আরও বেড়েছে। অনেক কেন্দ্রীয় নেতা নিজের ফেসবুক পেজ পরিচালনার জন্য ব্যক্তিগত সহকারী রেখেছেন। তারা দিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরছেন। যেমন, ওবায়দুল কাদের তার ফেসবুক পেজে প্রায় প্রতিদিনই সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। তার মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডও জানান।