‘সংলাপের কোনও প্রয়োজন তো দেখছি না’

সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের (ছবি: ফোকাস বাংলা)একাদশ সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘কোনও প্রয়োজন তো দেখছি না। গতবার তারা সেই ট্রেন মিস করেছে। খালেদা জিয়ার প্রত্যাখ্যানের ভাষাটা এখনও কানে ভাসে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখের অশালীন-অশ্রাব্য সেই ভাষা ভাবতে এখনও লজ্জা লাগে। সেদিন তারা বুঝিয়ে দিয়েছে সংলাপ চান না। তারা আলোচনা চান না। এখন তারা সংলাপ চায়। কিন্তু এখন সংলাপের কোনও প্রয়োজন নেই।’

শুক্রবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বর্ধিত সভার কর্মসূচি জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির অংশগ্রহণের সুযোগ প্রশ্নে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি কী চায় তা তারা নিজেরাও জানে না। আমাদের একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে। আমরা কী চাই সেটা বলতে আমাদের কোনও সমস্যা নাই। আমরা চাই সাংবিধানিক অরবিটের মধ্যে থেকে সরকার হিসেবে, রাজনৈতিক দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করা। আর রাজনীতিতে ভালোবাসার কোনও স্থান নেই। রাজনীতি হচ্ছে হিসাবের অংক। হিসাবের অংকে এখানে করুণা করা, ভালোবাসা দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই।’

সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের (ছবি: ফোকাস বাংলা)বিএনপির নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষতা বলতে কী বুঝাতে চাইছে, কারা নিরপেক্ষ? নিরপেক্ষতার সংজ্ঞা বিএনপির কাছে আমি জানতে চাই। বিএনপির কাছে তাদের দলের লোকজন নিরপেক্ষ। আর বাকি সবাই হচ্ছে পক্ষপাতদুষ্ট। তারা একদিকে বলে নির্বাচনেও তারা যাবে, আরেকদিকে বলে আন্দোলনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা আসলে কোনটা চায়?  তাদের কোনও বিষয়ই পরিষ্কার নয়। তাদের বক্তব্য সকালে এক রকম বিকালে আরেক রকম। একেক নেতা একেক কথা বলেন। কার কথা সঠিক, কোন কথা সঠিক?’

নির্বাচন বানচালের কোনও ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আশঙ্কা তো থাকবেই। তবে এবার আমরা খুব কনফিডেন্ট। এবার গতবারের মতো জ্বালাও পোড়াও করে কেউ পার পাবে না। আবারও বলছি, কেউ যদি রঙিন খোয়াব দেখতে চান সে রঙিন খোয়াব আর সফল হবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ অনেকে।