গাজীপুরে ইসিকে সহযোগিতা করছে সরকার: কাদের

ওবায়দুল কাদেরগাজীপুরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকার কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ করছে না। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করছে। উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’ সোমবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি  কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগিতা করছে। এটাই আমাদের সংবিধানের বিধান। যেটা আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা পরিষ্কারভাবে বলেছেন গাজীপুরে একটি অবাধ, শুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে সরকার কমিশনকে সর্বাত্বক সহযোগিতা দিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর কথা সেখানে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন হবে। কোনও প্রকার হস্তক্ষেপ থাকবে না।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজ যারা বড়বড় কথা বলেন তাদের মাগুরা মার্কা, ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচন আজও মানুষের চোখে ভেসে আসে। ভোট জালিয়াতি করে বিএনপি নির্বাচনের ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাসে কলঙ্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের ছাপ নেই ।’

গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করার বিষয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গুরুতর অভিযোগ পেলে প্রত্যাহার করতো। তারা হয়ত এমন কোনও অভিযোগ পায়নি। এইসব তাদের পুরোনো ভাঙা রেকর্ড।’  তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পর থেকে বিএনপি অভিযোগ করছে নির্বাচনে কারচুপি হবে। ভোট গ্রহণ শুরু হলে তারা অভিযোগ করবে ভোট ডাকাতি চলছে, এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। এমন বাক্য তারা রেজাল্টের আগ পর্যন্ত আওড়াতে থাকবে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা বিএনপির পুরোনো অভ্যাস।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নারায়নগঞ্জে যেমন নির্বাচন হয়েছে কুমিল্লা, রংপুর, খুলনায় যেমন হয়েছে ঠিক একইভাবে গজীপুরেও নির্বাচন হবে। আমরা গাজীপুরবাসীর কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে এখানে সরকার কোনও ধরণের হস্তক্ষেপ করবে না।’

এর আগে সংবাদ সম্মেলনের মূল বক্তব্যে তিনি জানান, দুই ধাপে ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জুন সকাল সাড়ে ১১ টায়। এ সভায় অংশগ্রহণ করবে চট্টগ্রাম বিভাগ, সিলেট বিভাগ, রাজশাহী এবং বরিশাল বিভাগের ইউনিয়ন পর্যায়ের দলীয় চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। তিনি আরও জানান, দ্বিতীয় ধাপে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে ৭ জুলাই সকাল সাড়ে ১১ টায়। এই ধাপে অংশগ্রহণ করবে ঢাকা বিভাগ, ময়মনসিংহ বিভাগ, রংপুর বিভাগ ও খুলনা বিভাগের অন্তর্গত ইউনিয়নসমূহের দলীয় চেয়ারম্যান, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ অনেকে ।