ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরাও এই মাটির সঙ্গে আছি। বঙ্গবন্ধুও ছিলেন, তার কন্যা শেখ হাসিনাও আছেন।’
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মনোয়ন পর্ব চূড়ান্ত হলেই আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশ করা হবে।’ নির্বাচনি ইশতেহারে ‘দিন বদলের অভিযান, অদম্য বাংলাদেশ’ গ্রামীণ উন্নয়নকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র কিংবা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এ ইশতেহার প্রকাশ হতে পারে।
মুজিব কোট পরা ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা তো আওয়ামী লীগেই ছিলেন। তাদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ থাকবে। তারা তো জেনে-শুনে বিষ পান করেছেন। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। এটা তাদের দীর্ঘদিন তাড়িত করবে।’
দলের মনোনয়ন প্রদানে রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দলের মনোনয়নের ক্ষেত্রে রাজনীতিকদেরই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। গতবারের চেয়ে এ সংখ্যা বেড়েছে। সাবেক ছাত্রনেতা যারা তৃণমূল থেকে এসেছে, তাদের আমরা মনোনয়ন দিয়েছি। সর্বমোট আসন সংখ্যার মধ্যে ১৬ থেকে ১৭ জন ব্যবসায়ী মনোনয়ন পেয়েছেন। এছাড়া ৪০ জনের কাছাকাছি মুক্তিযোদ্ধা, আর নতুন মুখ ৫০-এর কোঠা ছুঁতে পারে বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে।’
বিদ্রোহী প্রার্থীর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ বিদ্রোহ করলে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।’
আসন ভাগাভাগি নিয়ে মহাজোটে ক্ষোভ রয়েছে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কিছু ক্ষোভ তো থাকতেই পারে। এত বড় মহাজোট। এখানে তো ক্ষোভ-বিক্ষোভ কিছু হবেই। সেই ক্ষোভ আমরা প্রশমিতও করবো। কিন্তু প্রত্যাহার পর্যন্ত যাদের ধৈর্য থাকবে না তাদের জন্য ব্যবস্থা আছে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।