সরকার ও আ. লীগের তৎপরতায় ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে: আমু

আমির হোসেন আমুআওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘সরকার ও আওয়ামী লীগ তৎপর থাকায় ঘূর্ণিঝড় ফণীতে ক্ষয়ক্ষতি খুব কম হয়েছে। ঝড়ের আভাস পেয়েই সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা এবং অন্যান্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ থেকেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। দলের নেতারাও তৎপর ছিলেন।’

রবিবার (৫ মে) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ফণীর ক্ষয়ক্ষতি ও ত্রাণ বিতরণ কমিটির মিটিং শেষে সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন তিনি।

আমু বলেন, ‘১৯৯১ সালে কোনও রকম প্রস্তুতি না থাকায় পাঁচ লাখ মানুষ নিহত হয়েছিল। এবার ফণী বাংলাদেশ যতটুকু আঘাত হানার ততটুকু না আনায় আমরা কিছুটা স্বস্তিতে আছি। দুঃখজনক হলেও সত্য কয়েকটি জায়গায় কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় এমপিরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সরকার ও দলের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা এবং ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

সোমবার (৬ মে) সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে দলীয় ত্রাণ কার্যক্রম এবং সরকারের ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবারও ফোন দিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।  

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আমু বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ ও দলের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণের জন্য কেন্দ্র থেকে দু’টি কমিটি করেছে। সেই কমিটির নেতারাই আজ রবিবার রওনা দেবেন। আগামীকাল সোমবার থেকে ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নোয়াখালীর সুর্বণচরের দলের ভারপ্রাপ্ত  সাধারণ সম্পাদকের মাহবুব উল আলম হানিফের নেতৃত্বে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রম বিতরণ করবেন।

সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক  সুজিত নন্দি রায়, আওয়ামী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস এম কামাল প্রমুখ।