রবিবার (২ আগস্ট) সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ভবন চত্বরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিশেষ অতিথি হিসেবে তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন।
আগস্ট মাসজুড়ে দলের ঘোষিত কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা মহামারীর কারণে অশ্রুসিক্ত বেদনার আগস্টের কর্মসূচি নতুন করে সাজানো হয়েছে। করোনা সংকট থেকে উত্তরণের প্রচেষ্টার মাঝে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাতের ফলে আমাদের জীবন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠেছে।’
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘এবারের বন্যার শুরুতেই বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই আশ্বস্ত করেছেন বন্যাদুর্গত মানুষের দুর্ভোগ মোকাবিলায় সরকারের যথেষ্ট বরাদ্দ রয়েছে। পাশাপাশি সরকার দুর্যোগ-পরবর্তী পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এবং কোনও মানুষ না খেয়ে থাকবে না।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্যে রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা। কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্রর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি।