‘বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণও এক ধরনের ষড়যন্ত্র’

ওবায়দুল কাদের (ফাইল ছবি)বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অভিযোগের পুরোনো কৌশল নিয়েছে মন্তব‌্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আমরা স্বাগত জানিয়েছিলাম। কিন্তু তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণও এক ধরনের ষড়যন্ত্রের অংশ। নির্বাচনে প্রচার না চালিয়ে, পোলিং এজেন্ট না দিয়ে, মাঠে না থেকে, অভিযোগের পর অভিযোগ করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিএনপির যে পুরোনো কৌশল তাতে মরিচা ধরে গেছে।’

রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ‘প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় মানবতার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব‌্য রাখতে গিয়ে তিনি এই কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি’র উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়। ওবায়দুল কাদের নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব মন্তব্য করেন।

বিএনপি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বিএনপির কর্মীরা নির্বাচন করতে চাইলেও নেতারা দিচ্ছে না। তারা জনগণের মনের কথা তো বুঝেই না, দলের কর্মীদের মনের কথাও বুঝতে পারে না। লোক দেখানো অংশগ্রহণে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ। স্বতস্ফূর্তভাবে জনগণের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি জনমানুষের আস্থা আবারও প্রমাণিত হয়েছে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতিতে মানবিকতার নজির স্থাপন করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু বিএনপি শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ না থেকে অবিরাম মিথ্যাচারের ফানুস ওড়াচ্ছে। শিল্পাচার্য জয়নুলের চিত্রকর্মের আটকে পড়া গরুগাড়ির মতো বিএনপির রাজনীতি এখন মিথ্যাচারের চোরাবালিতে আটকে আছে।’

মানবকল্যাণই শেখ হাসিনার রাজনীতির দর্শন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাজনীতির মাধ্যমে মানবকল্যাণই শেখ হাসিনার রাজনীতির দর্শন। তার রাজনীতির মূলমন্ত্র হলো জনগণের জীবনমান উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রী বাংলার মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। ১৯৮১ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। তিনি দলের দায়িত্ব নিয়েই জেনারেল জিয়ার সামরিক শাসনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরেই বাংলার মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যুক্ত হন।’

দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস‌্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব‌্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস‌্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুব এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. মফিজুর রহমান।