শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে শিক্ষাজীবনের ক্ষতি হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে বয়োজ্যেষ্ঠদের জীবন বাঁচাতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

রবিবার (২৯ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৮ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, ‘সরকার আন্দোলন ঠেকাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। আন্দোলনের ভয়ে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে’, বিএনপির এ অভিযোগও নাকচ করেন তিনি। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ জারি করা হয়। এরই অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের দেশেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ফলে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে অপূরণীয় ক্ষতি হলেও তাদের এবং পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের জীবন বাঁচাতে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এটি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারা বিশ্বের স্বীকৃত প্রক্রিয়ার একটি অংশ।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সরকার সব সময় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ করছে। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে যে প্রক্রিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে, আমাদের দেশেও সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। তবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। এমনকি উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় টিকা প্রদান করা হচ্ছে।’

একটি মহল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার যখন শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষাজীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তখন একটি মতলবি মহল এটিকে নস্যাৎ করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-কেন্দ্রিক অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির লক্ষ্যে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বর্তমানে বিএনপি নেতাকর্মীদের আচরণ ও উসকানিমূলক বক্তৃতা-বিবৃতি পর্যালোচনা করলেই বোঝা যায় যে তারা দেশবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের ওপরে তাদের নেতাকর্মীদের হামলা এবং মেট্রোরেলের যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় যার প্রতিফলন ঘটেছে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধবিরোধী কোনও ষড়যন্ত্রকে ভয় করে না। যেকোনও ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার রাজনৈতিক শক্তি আমাদের রয়েছে।’

শেখ হাসিনা ছাত্র রাজনীতি নিয়মিত ছাত্রদের হাতে তুলে দিয়েছেন বলে জানান কাদের। বলেন, ‘অসুস্থ ধারার ছাত্র রাজনীতির বিপরীতে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে তিনি সেটি করেছেন।’

ছাত্রসমাজ কারও স্বার্থরক্ষার পাহারাদার হবে না বলে মনে করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা এ দেশের মানুষের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার সরকার সর্বদা বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে।’