বঙ্গবন্ধু সব যুগেই প্রাসঙ্গিক: শেখ পরশ

সাত মার্চের ভাষণ যুগে যুগে বিশ্বের সব অবহেলিত, বঞ্চিত ও স্বাধীনতাকামী জাতি-গোষ্ঠীকে অনুপ্রেরণা জোগাতে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।

সোমবার (১৪ মার্চ) বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় দলের সাত দিনব্যাপী কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, নড়াইল, খুলনা, খুলনা মহানগর, বাগেরহাট ও পিরোজপুর জেলার নেতাদের  সঙ্গে এই  প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

যুবলীগ চেয়ারম্যান ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শুধু ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতিকেই অনুপ্রাণিত করেছিল তা নয়, বরং এই ভাষণ যুগে যুগে বিশ্বের সব অবহেলিত, বঞ্চিত ও স্বাধীনতাকামী জাতি-গোষ্ঠীকে অনুপ্রেরণা জোগাতে থাকবে। এ কারণেই এ ভাষণ ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সব যুগেই প্রাসঙ্গিক ও সমকালীন। তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে এবং তাঁর উদার, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ ধারণ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘‘এই মার্চ মাস আমাদের মহান স্বাধীনতার মাস, এ মাসের ১৭ তারিখ টুঙ্গিপাড়ার এক অজপাড়াগায়ে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন— স্বাধীনতার মহানায়ক, স্বাধীনতার প্রাণপুরুষ, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।  স্বাধীনতা শব্দটি থেকে, বা স্বাধীনতার অর্থ থেকে বঙ্গবন্ধুকে আলাদা করা সম্ভব না। তবে চেষ্টা যে হয়নি তা নয়, চেষ্টা করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের পর। ২১ বছর আমরা ‘জয় বাংলা’ বলতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতে পারিনি। আমাদের দুর্ভাগ্য, এই বঙ্গবন্ধুকেই সপরিবারে শিকার হতে হয়েছিল ইতিহাসের নিকৃষ্টতম হিংস্রতার ও বর্বরতার।’

যুবলীগ চেয়ারম্যান ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য— ১৭ মার্চ দেশব্যাপী সব মসজিদে দোয়া, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা, ১৮ মার্চ যুবলীগের সব ইউনিটে যুবসমাবেশ ও আলোচনা সভা, ১৯ মার্চ দেশব্যাপী সব ইউনিটে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প, রক্তদান কর্মসূচি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। ২০ মার্চ দেশব্যাপী সব ইউনিটে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২১ মার্চ সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণসহ নানা কর্মসূচি।

যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সোহেল উদ্দিন, ডা. খালেদ শওকত আলী, শেখ ফজলে ফাহিম, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, তাজউদ্দিন আহমেদ,  জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, সাইফুর রহমান সোহাগ, আবু মুনির শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল,  ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দফতর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক ব্যারিস্টার আলী আসিফ খান রাজিব, অর্থ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক  সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. মো. ফরিদ রায়হান, মহিলা সম্পাদক মুক্তা আক্তার, উপ-দফতর সম্পাদক  দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-অর্থ সম্পাদক সরিফুল ইসলাম দুর্জয়, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক আবদুর রহমান, উপ-কৃষি ও সমবায় সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য, শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক নূহুন মদবর, রাজবাড়ী জেলা আহ্বায়ক  জহুরুল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল হোসেন সিকদার, শাহ জাহাঙ্গীর জলিল, গোপালগঞ্জ জেলা সভাপতি জি এম সাহাব উদ্দিন আজম, সাধারণ সম্পাদক এম বি সাইফ (বি মোল্লা), মাদারীপুর জেলা সভাপতি আতাহার সরদার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রুবেল খান, ফরিদপুর জেলা আহ্বায়ক জিয়াউল হক মিঠু, যুগ্ম-আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শামীম তালুকদার, খান শাহ সুলতান রাহাত, খুলনা জেলা সভাপতি কামরুজ্জামান জামাল, সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান বাবু এমপি, খুলনা মহানগর আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশ, যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন, বাগেরহাট জেলা আহ্বায়ক সরদার নাসির উদ্দিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক মোল্লা শাহনেওয়াজ দোলন, ফারুক হোসেন, নড়াইল জেলা আহ্বায়ক আলহাজ্ব ওয়াহিদুজ্জামান, যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরহাদ হোসেন মোল্যা, গাউসুল আজম মাসুম, মাহফুজুর রহমান, পিরোজপুর জেলা সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু, সাধারণ সম্পাদক  জিয়াউল আহসান গাজীসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।