বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান যথার্থ: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যথার্থই সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছেন। ফ্রান্সসহ পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতেও এই অনুরোধ জানানো হয়েছে। সমালোচকদের অনুরোধ জানাবো, তারাও যাতে এ বিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তিনি এ কথা বলেন। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সমালোচকদের বিশ্ব পরিস্থিতির দিকে তাকানোর আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীব্যাপী জ্বালানি সংকট শুরু হয়েছে। জ্বালানি ও পরিবহন মূল্য দুটিই অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ায় লাখ লাখ পরিবারকে বলা হয়েছে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য। সেখানে কোনও অঙ্গরাজ্যে ১০ ঘণ্টা, কোনও অঙ্গরাজ্যে ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়েছে। ইউরোপে, যেখানে কোনও সময় বিদ্যুৎ যায় না, সেখানেও লোডশেডিং হচ্ছে। জাতিসংঘের স্থায়ী পরিষদের স্থায়ী সদস্য ফ্রান্সের মতো দেশেও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য বলা হয়েছে।

ড. হাছান বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ খাত মূলত জ্বালানিনির্ভর। কয়লাভিত্তিক সব বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি উৎপাদনে আসেনি। সে কারণে সরকার গত বছর বিদ্যুৎ খাতে ২৮ হাজার কোটি টাকা এবং জ্বালানি খাতে ২৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। এরপরও উন্নয়নশীল বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন, হ্যারিকেন এখন সাজিয়ে রাখার বিষয়, কারণ হ্যারিকেনের ব্যবহার নেই। সরকার গঠন করার আগে দেশে ৪০ শতাংশের কম মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পেতো। আজকে শতভাগ মানুষের দোরগোড়ায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। কিন্তু দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলেও সেটি সাশ্রয়ীভাবে ব্যবহার করার আহ্বান কোনোভাবেই ভুল নয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বানের পর যারা সমালোচনা করছেন সেই বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো পেছনে ফিরে তাকানোর জন্য, আপনারা কী করেছিলেন? মানুষ যখন বিদ্যুতের দাবি দিয়েছিল তখন গুলি করে মানুষকে হত্যা করেছেন।

তিনি বলেন, যারা বুদ্ধিজীবী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন, কারণে-অকারণে সমালোচনা করেন, পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে আপনাদের একসময়ের সমালোচনা এখন আপনাদেরই গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং এই ক্ষেত্রেও অহেতুক সমালোচনা করবেন না।