১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে বাধা দেওয়া হবে না: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে সরকার বাধা দেবে না, তবে আগুন ও লাঠি নিয়ে খেলতে এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। তিনি জানান, ১০ ডিসেম্বর বিএনপি যেন সুষ্ঠুভাবে ঢাকায় সমাবেশ করতে পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগের ৮ ডিসেম্বরের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের তারিখ ৬ ডিসেম্বর করা হয়েছে।

রবিবার (২৭ নভেম্বর) পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ওবায়দুল কাদের রাজধানীর নিজ বাসভবন থেকে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কানাডার আদালত বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী দল ঘোষণা করেছে। তাদের রাজনীতি হলো আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও। রাজনীতি না করার শর্তে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে যাওয়া নেতাকে নেতা বানানো এত সহজ নয়। মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার সময় শেষ।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘দুনিয়ার কোনও দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আছে? আপনাদের নেত্রীই বলেছিলেন, পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়।’

তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন আদালত কর্তৃক নিষিদ্ধ। এটা এখন মিউজিয়ামে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুঃস্বপ্ন দেখে কোনও লাভ নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সেভাবেই অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কুমিল্লার সমাবেশে কোথায় গেলো হাঁকডাক? জনগণের উপস্থিতি ছিল খরা। কোথায় গেলো স্রোত আর ঢল? ঢাকা শহরে দেখা যাবে কত ধানে কত চাল।’

পিরোজপুর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপস্থিত লাখো মানুষের উদ্দেশে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির দুঃশাসন, অপকর্ম, ভোটচুরি, হাওয়া ভবন ও লুটপাটের বিরুদ্ধে খেলা হবে।’

পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম আউয়ালের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু। এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ডক্টর শাম্মি আহমেদ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদারসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।