‘বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেছি, মৃত্যুর আগে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ চাই’

ভ্যানকে আস্ত নৌকার আদলে বানিয়ে সেই বাহনেই নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় এসেছেন সিদ্দিক মিয়া (৬৫)। এতে তার সময় লেগেছে তিন দিন। প্যাডেল চালিত এই ভ্যান নিয়ে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন এই বৃদ্ধ। সকাল থেকেই সম্মেলনস্থলের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্যানটি নিয়ে প্রদক্ষিণ করছিলেন তিনি। 

কথা হয় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে। সিদ্দিক মিয়া বলেন, ‘আমি ২০১৪ সাল থেকে নৌকার আদলে বানানো এই ভ্যান চালিয়ে ঢাকাসহ যেখানেই আওয়ামী লীগের প্রোগ্রাম সেখানেই যাই। এত কষ্ট করে দূর থেকে আসি শুধু বঙ্গবন্ধুকে ভালবেসে। আমার কোনও চাওয়া-পাওয়া নেই। জীবনে সবসময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মেনে চলেছি। এটা সবাই জানে। যুদ্ধের পর থেকে আজ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মেনে চলার কারণে ও আওয়ামী লীগ করার কারণে অনেক বাধা-বিপত্তির শিকার হয়েছে। নিজের এলাকায় পারিবারিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছি, তবুও বিচলিত হয়ে পিছপা হইনি।’

সিদ্দিক-মিয়া

১৯৭০ সালের ঘটনা বর্ণনা করে এই বৃদ্ধ বলেন, ‘আমি তখন ক্লাস ফাইভে পড়াশোনা করি। তখন বঙ্গবন্ধু নেত্রকোনায় এসেছিলেন। আমি তাঁর সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেছি। মৃত্যুর আগে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একবার দেখা করতে চাই। তার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করাই আমার শেষ ইচ্ছে।’

বলতে বলতেই আপ্লুত হয়ে ওঠেন সিদ্দিক মিয়া। জানালেন, এটাই এই ভ্যান নিয়ে তার ঢাকায় আসা। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বয়স হয়েছে বাবা। বার্ধক্যজনিত সমস্যা আছে, তবুও আসছি। আর আসতে পারবো বলে মনে হয় না।’

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক কে হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে আমার ব্যক্তিগত কোনও চাওয়া-পাওয়া নেই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সবাই যোগ্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করবেন।’

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ। তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও যোগ্যতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। আশা করি তিনি এবারও নির্বাচিত হবেন।’